আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি তর্কহীনভাবে বিশ্বের সেরা ফুটবলারদের একজন। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে। সে যাত্রায় তিনি জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপা। জাতীয় দলের হয়ে জিতেছেন কোপা আমেরিকা সহ ফুটবলের সবচেয়ে বড় অর্জন বিশ্বকাপ শিরোপাও। ক্যারিয়ারে অসংখ্য শিরোপার সাথে গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও পিছিয়ে নেই তিনি।
ক্লাব ক্যারিয়ারে ১২ টি লিগ শিরোপা, ৮ টি স্প্যানিশ সুপার কাপ, ৭ টি কোপা দেল রে, ৪ টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ৩ টি ক্লাব বিশ্বকাপ ও ৩ টি ইউরোপিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন মেসি। এছাড়াও ব্যক্তিগত পুরস্কারেও কম যান না তিনি। রেকর্ড সাত বার ব্যালন ডি অর জয়ের পর আছেন অষ্টমবার পাওয়ার অপেক্ষায়। এছাড়া আরও আছে বর্ষসেরা ফুটবলার, গোল্ডেন বল, ফিফপ্রো সহ আরও অনেক খেতাব। এদিকে ফুটবলের বাইরে গিনেজ বুকেও অনেক রেকর্ড আছে ফুটবল জাদুকরের।
আর্জেন্টাইন অধিনায়কের গিনেজ বুকে থাকা কিছু রেকর্ড নিয়েই জানবো আজ
১. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড:
২০১২ সালের সাত মার্চ বেয়ার লেভারকুসেনের আতিথ্য পায় বার্সেলোনার ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে। দ্বিতীয় লেগের খেলায় সেদিন বুন্দেসলিগার দলটির বিপক্ষে সেদিন কাতালানরা জয়ী হয় ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে। আর তাতে মেসি করেছিলেন ৫ টি গোল।
এতে করে চ্যাম্পিয়নস লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল করা প্রথম ফুটবলারের রেকর্ড গড়েন তিনি। এ অর্জনে গিনেজ বুকে ওঠে তাঁর নাম।
২. কোপা-আমেরিকায় বদলি নেমে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড:
ফুটবলে সাধারণত বদলি হিসেবে ফুটবলাররা নামেন ম্যাচের ৬০-৭০ মিনিট অতিবাহিত হবার পর। তখন খুব বেশি গোল করার সুযোগ থাকেনা। তবে বদলি হিসেবে নেমে সবচেয়ে বেসগি গোল করায় মেসির নাম ওঠেছে গিনেজে।
২০১৬ সালে পানামার বিপক্ষে কোপা আমেরিকার ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে ৬১ মিনিটের মাথায় মাঠে নামেন মেসি। নেমেই সাত মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করেন তিনি, এরপর আরও দুই গোল করে পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক। ফলে বদলি নেমে কোপা আমেরিকায় বেশি গোল করার রেকর্ড হয় তাঁর।
৩. বিদেশি ফুটবলার হিসেবে লা লিগায় সবথেকে বেশি ম্যাচ খেলা:
বার্সেলনার জার্সিতে মেসি প্রথম লা লিগা ম্যাচ খেলেন ২০০৪-০৫ মৌসুমে। এরপর থেকে ক্লাব ছাড়ার আগ পর্যন্ত কাতালানদের হয়ে খেলেছেন মত ৫২০ টি ম্যাচে। এসব খেলায় তিনি গোল করেছেন ৪৭৪ টি।
স্পেনের পেশাদার ফুটবলের এ প্রতিযগিতায় আর কোনও বিদেশি ফুটবলার এতো বেশি ম্যাচ খেলতে পারেন নি।
৪. ফুটবলার হিসেবে বার্ষিক সর্বোচ্চ আয়
৩৫ বছর বয়সেও মেসি ছিলেন সবথেকে বেশি আয় করা ফুটবলার। ২০২২ সালে তখন মেসি ৮০ মিলিয়ন ডলার বার্ষিক বেতন ছাড়াও বিভিন্ন পণ্যদুত এবং বিজ্ঞাপন বাবদ আয় করেছেন আরও ২৭ মিলিয়ন ডলার। ফলে তখন তিনিই ছিলেন সবথেকে বেশি আয় করা ফুটবলার।
৫. চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৫০ গোল করা সবথেকে তরুণ ফুটবলার:
২০১২ সালে ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের কোয়ার্টার ফাইনালে এসি মিলানের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগের খেলায় বার্সা ম্যাচটি জিতে ৩-১ গোলে। সে ম্যাচটি মেসির জীবনে অন্যতম এক মাইলফলক। সে ম্যাচে পেনাল্টি থেকে ১ গোল করে এ টুর্নামেন্টে তাঁর ৫০ গোল পূরণ হয়।
এদিন ২৪ বছর ৯ মাস ১০ দিন বয়সে সবচেয়ে তরুণ ফুটবলার হিসেবে ৫০ গোল করার রেকর্ড গড়েন তিনি।