গাজীপুর জেলা কারাগারের বন্দিরা বিদ্রোহ করেছেন। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে তারা কারাগারের ভেতর বিদ্রোহ শুরু করেন। এসময় কারারক্ষীদের ছোড়া রাবার বুলেটে ১৩ বন্দি ও ৩ কারারক্ষী আহত হয়েছেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কারাগারের ভেতরের থাকা বন্দিরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে বন্দিদের পালিয়ে যাওয়া ঠেকাতে কারারক্ষীরা গুলি করতে থাকেন। তবে এ বিষয়ে দায়িত্বশীল কোনো সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
কারা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, জয়দেবপুর-ঢাকা সড়কের পাশেই গাজীপুর জেলা কারাগারের অবস্থান। গত কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দিদের বিক্ষোভের খবর গাজীপুর জেলা কারাগারে বন্দিরা পান।
এরমধ্যে ছাত্র ও রাজনৈতিক মামলার জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের বৃহস্পতিবার মুক্তি দিলে সেখানে থাকা বন্দিরাও মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে রাবার বুলেট ছোড়া হয়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে ভেতরে এখন সেনাবাহিনী এসেছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে কারাগারের ওই সূত্র জানিয়েছে।
গাজীপুর জেলা কারাগারের চিকিৎসক ডা. মাকসুদা আক্তার বলেন, প্রথমে সব শান্ত ছিল। তারপর যখন বন্দিরা বিদ্রোহ শুরু করলো, তখন রাবার বুলেট ছুড়লে ৫-৬ জন অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তবে সিরিয়াস কিছু না, প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর জ্ঞান ফিরে এসেছে। অনেকের শরীরে রাবার বুলেটের আঘাত ছিল, ড্রেসিং করে দিয়েছি। এরপর দেখলাম একজনের পর একজন আসতেছে। কারো চোখে আঘাত, কারো মাথায় আঘাত, কারো পায়ে আঘাত। অনেককেই সেলাই করা লাগছে। হয়তো কাউকে সরকারি হাসপাতালে রেফার্ড করা লাগতে পারে। এ পর্যন্ত ১৩ জন বন্দি ও ৩ জন কারারক্ষীসহ ১৬ জন আহত হয়েছেন।
গাজীপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ারুল করীম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হঠাৎ কারাগারে গোলাগুলি শুরু হয়েছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।