গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ৩ কিলোমিটার এলাকা থেমে থেমে যানজট। এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নেই যানবাহনের চাপ। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার এলাকায় ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। তবে গাড়ির তেমন চাপ নেই। বেশ কিছু গাড়ি সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে আছে যাত্রীদের অপেক্ষায়। অনেক যাত্রী বাস না পেয়ে ট্রাক-পিকআপ ও কভার্ডভ্যানে গ্রামের দিকে ছুটছে। এদিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত থেমে থেমে চলছে যানবাহন। এছাড়া শ্রীপুরের অংশে মহাসড়ক ফাঁকা। যানবাহন না পেয়ে শত শত যাত্রী সড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে আছেন।
এর আগে সোমবার (১৯ জুলাই) গাজীপুরে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঈদের ছুটি ঘোষণা করা হয়। বিকেল থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার হাজার হাজার মানুষ পথ ধরে গ্রামের দিকে। যার ফলে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায়। এতে করে যানজট সৃষ্টি হয় আর দীর্ঘ হতে থাকে গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের যানজট। পরে মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমে যায়।
পর্যাপ্ত বাস না থাকায় বাড়ি ফেরা মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেকেই বাধ্য হয়ে ট্রাক, পিকআপ ও কভার্ডভ্যানসহ বিভিন্ন পরিবহনের বাড়ি ফিরতেছে। এদের মধ্যে রয়েছে শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ। এছাড়া বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে কাঁদা ও পানি জমে আছে। এতে মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করতে দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন।
গাজীপুরের মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে যানবাহনের কোনো চাপ নেই। মহাসড়ক ফাঁকা। তবে যানবাহন সংকট থাকায় যাত্রীরা বিভিন্ন পয়েন্টে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছেন। এদিকে সালনা (কোনাবাড়ী) হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর গোলাম ফারুক বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় ২ থেকে ৩ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। যাতে যানজটের সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ কাজ করছে।