কাতারে অবস্থিত হামাসের একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন যে, হামাস অনুমান করেছে- গত চারমাসে সংঘাতের সময় তারা ৬ হাজার যোদ্ধা হারিয়েছে।
তিনি বলেন, নেতানিয়াহু গাজা দখল করতে পারেন। তবে হামাস এখনও দাঁড়িয়ে আছে এবং লড়াই করছে। তিনি হামাসের নেতৃত্বকে হত্যা বা হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেননি।
এদিকে ইসরায়েলের চার কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এএফপি জানিয়েছে, ইসরায়েল গাজায় আরও ছয় থেকে আট সপ্তাহের জন্য পূর্ণ-স্কেল সামরিক অভিযান চালিয়ে যাওয়ার আশা করছে। তারা ছিটমহলের দক্ষিণতম শহর রাফায় স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইসরায়েলের সামরিক প্রধানদের বিশ্বাস, এই অভিযানে হামাসের অবশিষ্ট ক্ষমতাগুলো ধ্বংস করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, রাফা হলো হামাসের নিয়ন্ত্রণের শেষ ঘাঁটি এবং রাফাতে ব্যাটালিয়ন রয়ে গেছে, যা ইসরায়েলকে এই যুদ্ধে তার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দিতে পারে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট শুক্রবার বলেছেন যে, ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) রাফাতে হামাস যোদ্ধা, কমান্ড সেন্টার এবং টানেল লক্ষ্য করে অভিযানের পরিকল্পনা করছে। তার দাবি, সেখানে বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়াতে ‘অসাধারণ ব্যবস্থা’ নেয়া হচ্ছে।
ইসরায়েলের এই মন্ত্রী দাবি করেন, হামাসের ২৪ ব্যাটালিয়ানের ১৮টি ভেঙে দিয়েছে ইসরায়েল। তিনি বলেন, এখন রাফা হলো হামাসের পরবর্তী মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র।
ছোট্ট এলাকা রাফাতে এরই মধ্যে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১৪ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে সামরিক অভিযানের বিষয়ে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছে বিশ্ব। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো সেখানে সামরিক অভিযানের বিপক্ষে।
রোববার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৮৫ জনে। আহত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৮৮৩।
গাজার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১২৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে এবং ২০৫ জনকে আহত করেছে।
বিবৃতিতে গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছে কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।