কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান প্রথমবারের মতো ফোনে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের হামলায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন দুই নেতা।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বুধবার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তেহরান ও রিয়াদের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় শুরু করার পর দুই নেতার মধ্যে এটি প্রথম ফোনালাপ। খবর রয়টার্সের
ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাইসি এবং সৌদি যুবরাজ ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্স নিশ্চিত করেছেন যে, চলমান উত্তেজনা বন্ধ করার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক পক্ষের সাথে যোগাযোগের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব।
সৌদি আরব এবং ইরান সাত বছরের বৈরিতার পর চীনের মধ্যস্ততায় সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
ফিলিস্তিনে ব্যাপক হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দুই পক্ষে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩০০ জনে পৌঁছেছে। এর মধ্যে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে ১২০০ এবং ফিলিস্তিনে ১১০০। খাদ্য,পানি ও বিদ্যুৎ না থাকায় ও ইসরায়েলের নির্বিচারে হামলায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে গাজা।
ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে। ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা। এ যেন মৃত্যু আর আতঙ্কের উপত্যকা। আকাশে যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দ। চারদিকে বিধ্বস্ত ভবনের ইট-পাথর।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে আহত হয়েছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ।
জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে গেছে। আপাতত জেনারেটর দিয়ে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে সেটিও বৃহস্পতিবারের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত শনিবার থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলের হামলায় জাতিসংঘের অন্তত ৯ কর্মী নিহত হয়েছেন। গাজায় রেশনিং ব্যবস্থা চালু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনাদের হামলায় অধিকৃত পশ্চিম তীরে অন্তত ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন ৯ জন।