ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ করতে গিয়ে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ ইসরায়েলি সেনা ‘পঙ্গু’ হয়েছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওত আহরোনোত শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নিযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান মূলত এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যাদের সেনাদের হতাহতের বিষয়টি নিরূপণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত সেনার পঙ্গুত্ব বরণ করাকে ‘বিষন্ন পূর্ভাবাস’ হিসেবে অভিহিত করেছে সংবাদমাধ্যমটি।
১২ হাজার ৫০০ সেনার পঙ্গু হওয়ার বিষয়টিকে সতর্কবার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে ইয়েদিওত আহরোনোত। হিব্রু ভাষার সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পঙ্গু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ইসরায়েলি সেনারা যে আবেদন করছেন সেটি ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুনর্বাসন বিভাগ বর্তমানে ৬০ হাজার পঙ্গু সেনাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এরমধ্যে ২০২৩ সালে কমপক্ষে ৫ হাজার সেনা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত পুনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৪০০ সেনা।
যে ১২ হাজার সেনার কথা বলা হচ্ছে তারা কী শুধুমাত্র নতুন করে শুরু হওয়া যুদ্ধে আহত হয়েছেন; সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ইয়েদিওত আহরোনোত।
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সেনাদের হতাহত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক যে তথ্য দেওয়া হয়েছে সেটির সঙ্গে এ তথ্যের অনেক অসঙ্গতি রয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ইসরায়েলি সেনাদের হতাহতের সংখ্যা ৩ হাজারে পৌঁছেছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই সময়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ২ হাজার ৩০০ সেনা।
সেনাদের হতাহতের যে সংখ্যা সেনাবাহিনী প্রকাশ করছে সেটি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ সেনাবাহিনী দেওয়া তথ্যের তুলনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেনার সংখ্যা অনেক বেশি।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে হুশিয়ারির সুরে বলা হয়েছে, সাবেক সেনা ইতজিক সাইদানের ঘটানো ঘটনার মতো এমন কিছু হয়ত ইসরায়েল আবারও প্রত্যক্ষ করবে। ইতজিক সাইদান ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে ইসরায়েলের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষোভ থেকে ২০২১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন কেন্দ্রের বাইরে নিজ গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তার মনে হয়েছিল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা চুক্তির সবক্ষেত্রে ‘অপমান ও বঞ্চনার’ শিকার হয়েছিলেন তিনি।