এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার—২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় নিহত হয়েছেন ৮২ জন এবং আহত হয়েছেন ১১০ জন ফিলিস্তিনি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে মোট নিহতের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ শুক্রবারের বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘বিভিন্ন ভবনের ধ্বংস্তূপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছে অনেক মৃতদেহ। এসব এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।’
গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এক হাজারেরও বেশি হামাস যোদ্ধা। অভূতপূর্ব এই হামলার পর ওই দিনই গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। সেই অভিযান এখনও পুরোদমে চলছে।
ইসরায়েলের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক। হত্যার পাশাপাশি ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। তাদের মধ্যে এ পর্যন্ত মুক্তি দেওয়া হয়েছে ১০৮ জনকে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় বাড়িঘর হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন গাজার ২২ লাখ বাসিন্দার ৮৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে উপত্যকার ৬০ শতাংশ ভবন।
যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে গাজায় ত্রাণ প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফলে না খেতে পেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে উপত্যকায়।