ঢাকা থেকে স্বামীকে খুঁজতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আসা এক নারীকে (২৯) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। মামলায় ওই নারীর স্বামী কামরুল ইসলাম সাজু ও পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিবসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এখানো এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) এম এ আজিজ।
জানা গেছে, ওই নারী চার দিন সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৩ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার বাড়ি নেত্রকোণার আটপাড়া উপজেলায়। পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ৭-৮ মাস আগে ঢাকার জিরাইল এলাকায় কামরুল হাসান সাজুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। সাজু সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার কলেজপাড়ার রহিম মিস্ত্রির ছেলে।
ওসি (তদন্ত) এম এ আজিজ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গত সোমবার (২৫ জুলাই) দিবাগত রাতে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন ওই নারী। পরদিন মঙ্গলবার বিকেলে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এরপর ওই নারী ঢাকায় ফিরে যান। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে অভিযুক্ত সাজু ও কাউন্সিলর হাবিবের নাম জানালেও তদন্তের স্বার্থে তিনি অন্য আসামিদের নাম জানাতে রাজি হননি।
ওই নারীর অভিযোগ, বিয়ের পর স্বামী সাজুর সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন তিনি। কিন্তু স্বামী সাজু ঈদুল আজহার আগে বাসা থেকে ফ্রিজসহ দামি জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যান। গত ৬ জুলাই ঢাকা থেকে স্বামীকে খুঁজতে সুন্দরগঞ্জে আসেন তিনি। পরে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসা করে স্বামীর বাবার ভাড়া বাসার ঠিকানা খুঁজে বের করেন। কিন্তু ওই বাসায় ঢুকতে না দিয়ে স্বামী সাজু তাকে অন্য একটি বাসায় নিয়ে যান। ওই বাসায় কাউন্সিলর হাবিব এসে বিয়ের কাগজ দেখতে চেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। এছাড়া স্বামী সাজুর সহযোগিতায় অন্য আসামিরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান হাবিব ও কামরুল ইসলাম সাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।