নড়াইল সদর উপজেলায় আছিয়া বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের শড়াতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আছিয়া ওই গ্রামের রনি শেখের স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে রনি পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক পুলিশ উপস্থিত হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধারালো অস্ত্র দিয়ে নিহতের গলায় আঘাত করা হয়েছে এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন বছর আগে রনি শেখ একই গ্রামের আছিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় আছিয়ার বাবার নিকট থেকে রনি নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা ও একটি জমি যৌতুক হিসাবে নেন। বিয়ের পর আছিয়ার বাবা-মা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে রনির অন্যায় আবদার পূরন করে আসছিলেন। আবদার পূরনের পরও বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো। গত সপ্তাহেও আছিয়ার মা রনিকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। আজ দুপুরে তর্কাতর্কির একপর্যায়ে রনি তার স্ত্রী আছিয়াকে মারধর করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় আঘাত করে ঘাড় থেকে গলা অর্ধেক বিচ্ছিন্ন করে। পরবর্তীতে বিছানায় আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়রা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও আছিয়া বেগমের মরদেহ দেখতে পায়। পরে ফায়ার সার্ভিস থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সাদিরা খাতুন বলেন, এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের পেছনে প্রকৃত দোষী যে বা যারা থাকুক না কেন, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। রনি শেখের বাবা এবং দুই ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। পলাতক রনিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।