প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ৩৬ জন সিরীয় সেনা নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) গভীর রাতে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির আলেপ্পো প্রদেশে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
মূলত সিরিয়ার এই এলাকাতেই লেবাননের শক্তিশালী সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অস্ত্র গুদাম রয়েছে। ব্রিটেন-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সিরিয়ার আলেপ্পো প্রদেশে ইসরায়েলি বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩৬ সিরীয় সৈন্য নিহত হয়েছে বলে একটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী জানিয়েছে। সিরিয়ার এই অঞ্চলে হিজবুল্লাহর অস্ত্রের ডিপো রয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষক গোষ্ঠী সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, ইসরায়েলি এই হামলাটি ‘লেবানিজ গ্রুপ হিজবুল্লাহর রকেট ডিপোর কাছাকাছি’ একটি এলাকাকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে।
মূলত যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক এই পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর সিরিয়ায় এক বিস্তৃত নেটওয়ার্ক রয়েছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, ‘ইসরায়েলি এই হামলায় কমপক্ষে ৩৬ সেনা নিহত এবং আরও বহু সেনা আহত হয়েছেন।’
সিরিয়ার একটি সামরিক সূত্র সানাকে জানিয়েছে, ‘রাত আনুমানিক পৌনে দুইটায় ইসরায়েলি বাহিনী আলেপ্পোর দক্ষিণ-পূর্বে আথ্রিয়ার দিক থেকে বিমান হামলা শুরু করে। এই হামলায় বেসামরিক এবং সামরিক কর্মী’ নিহত ও আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ‘বিদেশি মিডিয়ার প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করবে না’।
অবশ্য ইসরায়েলের এই ধরনের হামলা এটিই প্রথম নয়। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহেও সিরিয়ায় রাতের আঁধারে সামরিক অবকাঠামোতে হামলা করে ইসরায়েল। সেই হামলায় কিছু ‘বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে বলেও সেসময় জানিয়েছিল দেশটি।
গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরুর পর থেকে আঞ্চলিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সেসময় থেকেই এই ধরনের ইসরায়েলি হামলাগুলো বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এই দেশটির অভ্যন্তরে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে। সরকারি নানা স্থাপনার পাশাপাশি মিত্র ইরান-সমর্থিত বাহিনী এবং হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে।
ইসরায়েল অবশ্য খুব কমই সিরিয়ায় এই ধরনের অভিযানের বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করে থাকে।