বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি জোটবদ্ধ গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার অব. আ স ম হান্নান শাহের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভুঁইয়া, কৃষক দলের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম বাবুল, গাজীপুর বিএনপির ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, প্রয়াত হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে লোক নেওয়া হচ্ছে দলীয় ভিত্তিতে। এভাবে পুরো প্রশাসনকে তারা (সরকার) দলীয়করণ করে ফেলেছে, রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করে ফেলেছে। ৩৫ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া, দলের ৫০০-র বেশি নেতাকে গুম এবং সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারপরও তারা আবার নির্বাচনের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে। আসলে কেউ যেন ভোট দিতে না পারে, সেই ব্যবস্থা তৈরি করেছে তারা। আজকে মানুষ কথা বলতে পারে না, কেউ কথা বলার সাহস পায় না। আমাদের ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের ছেলেরা এমনকি বিএনপির বয়স্ক লোকেরা এলাকায় থাকতে পারছে না।