বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এডুকেশন ওয়াচের সহযোগিতায় গণসাক্ষরতা অভিযান এই সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিকল্প নেই। তবে সব জায়গা এক রকম নয়। যেসব স্কুলে শিক্ষার্থী কম, ৩০ জন বা কম, সেখানে সহজে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা সম্ভব। তবে যেখানে শিক্ষার্থী ১৫০ জন, সেখানে এভাবে করা যায় না। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার পদ্ধতি থাকাটা জরুরি।
বিদ্যালয়ের ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী বলেছেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অবৈতনিক হলেও মা-বাবাকে সন্তানদের জন্য ৭১ শতাংশ শিক্ষা ব্যয় করতে হয়। বিশেষ করে রাজধানীর আইডিয়াল স্কুলের মতো প্রথম সারির স্কুলগুলোর ফি দিতে দিতে অভিভাবকরা নিঃস্ব হয়ে যান।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের প্রসঙ্গ টেনে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এসব স্কুলের ফি দিতে দিতে মা-বাবাদের পকেটের টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এদের উচিত ফি কমিয়ে শিক্ষাকে সহজ করা।
শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা নীতিমালা মেনে চলেন। কোচিং বাণিজ্য থেকে বের হয়ে আসেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে শিক্ষকরা বলেন, কোচিং বাণিজ্যের জন্য শিক্ষকরা একা দায়ী নন। অভিভাবকরা মনে করেন কোচিংয়ে না পড়ালে ছেলে-মেয়েরা ভালো ফল করতে পারবে না। এ ধরনের মানসিকতা থেকে বের না হলে কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হবে না।
ঢাকার বড় বড় স্কুলকে ডোনেশন নেওয়া থেকে নিবৃত্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষকরা বলেন, যারা ডোনেশন নেওয়ার বিপক্ষে নীতিমালা করছেন তারাই আবার সন্তান ভর্তির জন্য তদবির করতে আসেন। এতে নীতিমালা কাজে আসে না।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি), এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী,গণসাক্ষরতা অভিযানের ডিপিএম সামছুন নাহার প্রমুখ।