দল গোছানোর সাংগঠনিক রোডম্যাপ ঠিক করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগ। সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ বৈঠকেই দলীয় সভানেত্রীর প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নিয়েই দল গোছাতে মাঠে নামবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
চলতি মাস থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে ইতিপূর্বে গঠিত দলের শক্তিশালী আট বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম। আগামীকালের বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৩ জেলার সম্মেলনের তারিখও চূড়ান্ত হতে পারে। জানা গেছে, আট বিভাগে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৩টি এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫টি, চট্টগ্রামের সাতটি, ময়মনসিংহের পাঁচটি, রাজশাহীর চারটি, বরিশালের চারটি, রংপুরের তিনটি, খুলনার চারটি এবং সিলেট বিভাগের একটি সংগঠনিক জেলা। অন্যদিকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটির সংখ্যা প্রায় ৬৫০-এর মতো।
এছাড়া সম্মেলন হওয়া কমিটির অর্ধেকের বেশির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের পর মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন আগামী কেন্দ ীয় সম্মেলনের আগেই শেষ করার টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। গত কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর এখন পর্যন্ত দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩১টি মেয়াদোত্তীর্ণ জেলার সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু সম্মেলন হওয়া বেশ কয়েকটি জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পাঁচ জন সদস্য জানান, ঝিমিয়ে পড়া সাংগঠনিক শক্তি চাঙ্গা, সারা দেশে দ্বন্দ্ব-বিভেদ মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, আগামী জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ মহানগর-জেলা কমিটির সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলের প্রার্থীদের বিজয়ের ধারা বজায় রাখাকে প্রাধান্য দিয়ে চলতি মাসেই মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই মাস পরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রায় এক বছর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। সর্বশেষ গত বছরের ৩ অক্টোবরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় আগামীকাল বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এখনো বিদ্যমান থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্যের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার স্বার্থে সর্বোচ্চ ৫০ জন কেন্দ্রীয় নেতা বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে।