আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, যারা দেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর যারা আঘাত করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। তাদের বলব- তোমরা জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশে ও শেখ হাসিনার সমৃদ্ধ বাংলাদেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা কর না। দেশের মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার চেষ্টা কর না। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি। গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত।
শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে মিরপুর-১ এর গোল চত্বরে বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল। আমাদের দায়িত্ব হলো বাংলাদেশের মানুষ যাতে শান্তিতে বসবাস করতে পারে, ঘর থেকে শান্তিতে কর্মে যেতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখা। আমাদের সন্তানেরা শান্তিতে স্কুলে যাবে, এখানে কোনো ভয়-ভীতি বা হুমকি বা অগ্নি সন্ত্রাস দ্বারা তাদের ভয় দেখানো হলে আমরা মেনে নেবো না। তার জন্যই আমাদের এই কর্মসূচি। এটি কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়। এটি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কর্মসূচি।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা দেশের শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রস্তুত রয়েছে। সন্ত্রাসীরা যতই অপচেষ্টা চালাক দেশের মানুষ অতীতের চেয়ে এখন অনেক বেশি সচেতন। জনগণ কোনো অশুভ শক্তিকে দেশের স্বপ্ন ধ্বংস করতে দেবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা যেকোনো অপকর্ম প্রতিহত করতে সব সময় সচেতন রয়েছে।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, মির্জা ফখরুলরা বলেন আমরা নাকি ভয় পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। তারা কোনো অশুভ ও সাম্প্রদায়িক শক্তির কাছে কোনদিন মাথানত করেনি, আর কেউ করবে না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জাতির পিতার নির্দেশে লড়াই সংগ্রাম করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের বিতাড়িত করে দেশের স্বাধীনতা এনেছে। সেদিন যারা পাকিস্তানি হানাদারদের দালালি করেছে সেই অশুভ শক্তি এখন দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বলে তারা নাকি দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। তাদের উদ্দেশ্য হলো গণতন্ত্রকে ধ্বংস ও হত্যা করা। সন্ত্রাসী কায়দায় আগামী নির্বাচনকে বানচাল করা। তার জন্য তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশের মানুষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, ভোট দিতে চায়, জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবে। যদি আগামী নির্বাচনে কেউ কোনো প্রকার বানচালের চেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করব।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি।