ড. সুলতানা কামালকে ‘সরকারের এজেন্ট’ মন্তব্য করে অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেছেন, এদের দিয়ে গঠিত গণতদন্ত কমিশন আমরা মানি না। আমরা জাতিসংঘের অধীনে তদন্ত চাই। সুলতানা কামালরা সরকারের এজেন্ট। এরা সরকারের হয়ে কাজ করছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গণহত্যার বিচার ও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘প্রতিবাদী নাগরিক সমাজ’।
দিলারা চৌধুরী বলেন, সন্তান হারার বেদনা, একমাত্র মা ছাড়া কেউ বোঝে না। আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে শিবির তকমা দিয়ে, তখনই আমাদের নাগরিক সমাজের এগিয়ে আসা দরকার ছিল। ছাত্রলীগের গণরুমে কী ধরনের নির্যাতন চলে সেটা আমরা জানি। এটি নিয়ে আমাদের আগেই দাঁড়ানো প্রয়োজন ছিল। ১৫ বছরের নির্যাতনের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে, হল থেকে ছাত্রলীগকে বিতাড়িত করেছে। আমি ছাত্রদের সাধুবাদ জানাই, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের।
‘বিশ্বে ছাত্র আন্দোলনে হত্যায় প্রথম চীন, তারা অনেক ছাত্রকে হত্যা করেছে। এরপর মনে হয়, দ্বিতীয় বাংলাদেশ। এত ছাত্র হত্যাকাণ্ড করেছে। এর দায় নিয়েই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী বলেন, ছাত্র আন্দোলনে জুলাইয়ের ১৮-১৯ -২০ তারিখে যেটি হয়েছে, এটি গণঅভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থান চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপ নিতে আর বেশি দেরি নেই। এই চূড়ান্ত গণঅভ্যুত্থানের মধ্যে দিয়েই জাতির মুক্তি মিলবে, স্বৈরাচারের পতন হবে।
তদন্ত কমিশন হয়েছে শুনেছি, এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিসের তদন্ত কমিশন? কার তদন্ত কমিশন? এ তদন্ত কমিশনের কাছে আপনি কী আশা করতে পারেন? এগুলো আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা এই নিষ্ঠুর বিকৃত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার কাছে আর কোনো বিচার চাই না। বিচার করবে জনগণ, জনগণ আজ জেগে উঠেছে। এ জনগণকে গত ১৫ বছর ধরে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘুম ভেঙেছে আজ জনগণের।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকার হত্যা করে এখন মায়া কান্না করছে। এ সরকার ডামি ভোটের সরকার। এ আন্দোলনে আমাদের ৪ জন সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ৩০০’র বেশি আহত হয়েছে। আমাদের গণমাধ্যম তথ্য আড়াল করে নিউজ করছে। এ কারণে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ধাবিত হচ্ছে। এখন আপনারাই (গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ) সিদ্ধান্ত নেন, নিজেরা নিজেদের টিকিয়ে রাখবেন কি না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, কবি ও সাংবাদিক আব্দুল হাই শিকদার, পেশাজীবী পরিষদের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজে সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।