দর্শক নেই প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে। লিগের সব আকর্ষণ আগেই শেষ। চার ম্যাচ হাতে রেখেই বসুন্ধরা কিংস চ্যাম্পিয়ন হয়ে এএফসি কাপে খেলতে চলে গিয়েছে। লিগের বাকি খেলা চললেও সেখানে হঠাৎ ঝড়। শনিবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যাচে মারামারি। খেলা শেষেও মারামারি হয়েছে। শেখ জামালের খেলোয়াড়রা ড্রেসিং রুমের সামনে মারামারি করেছে। মাঠে পুলিশ ছিল না।
বাফুফে জানিয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেবে। তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে। ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেবে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিগ রানার্সআপ হওয়ার দৌড়ে রয়েছে। আর ব্রাদার্স তিন ম্যাচ হাতে রেখে লিগ হতে নেমে গেছে। শনিবার ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাদার্সের খেলোয়াড়কে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন শেখ জামালের খেলোয়াড়। খেলা শেষে রেফারিকে ঘিরে ধরেছিল। তাদের দাবি ছিল কর্নার পেয়েছিল। কিন্তু বল বসাতেই রেফারি ভুবন মোহন তরফদারের শেষ বাঁশি। খেলা শেষে ড্রেসিং রুমে ঢোকার সময় শেখ জামালের খেলোয়াড়রা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন। এই নিয়ে বাফুফেও সরগরম। মাঠে কেন পুলিশ ছিল না সেটা নিয়েও দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘দুই-একদিনের মধ্যেই ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশান কমিটির কাছে সব তথ্য পাঠানো হবে।’
গতকাল দুপুরে মনজুর কাদের বাফুফে ভবনে গিয়েছিলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান। তিনিও হতাশ হয়েছেন এহেন কাণ্ডে। তার খেলোয়াড়রা মাঠে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পক্ষে না। সব সময় খেলোয়াড়দের বলেই দেওয়া হয় মাঠে রেফারির সঙ্গে তর্ক না করা, অপ্রীতিকর কোনো কিছুতে না জড়ানো।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে মনজুর কাদের জানিয়েছেন, ফুটবলাররা মাঠে গণ্ডগোল করবে এটা কাম্য নয়। ব্রাদার্সের ম্যানেজার আমের খান জানিয়েছেন আমরা শুনেছি এটা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তিনি বলেন, ‘যেভাবে খেলার মধ্যে আমাদের খেলোয়াড়দের গায়ে হাত তোলা হলো এবং খেলা শেষে আবার মারামারি করাটা ঠিক হয়নি। আমি খেলোয়াড়দের বললাম, তোমরা ফুটবল খেলতে এসেছ কেন মারামারি করছ।’