গত ৪ ফেব্রুয়ারি ম্যাচটির প্রায় ৪০ হাজার টিকেট নিমিষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এমনকী এক হাজার হংকং ডলার ব্যয় করেও মেসির খেলা দেখতে অনেকেই মাঠে ছুটে এসেছিলেন। কিন্তু ইনজুরির কারণে শেষ পর্যন্ত মাঠেই নামেননি আর্জেন্টাইন মহাতারকা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে মেসি সমর্থকরা।
পুরো স্টেডিয়াম কানায় কানায় পরিপূর্ণ থাকলেও মেসিকে মাঠে দেখতে না পেয়ে ইন্টার মিয়ামি মালিক ডেভিড বেকহ্যাম ও কোচ জেরাডো মার্টিনোকে দুয়োধ্বনি দিয়েছে স্বাগতিক ভক্তরা। এ নিয়ে হংকং সরকারও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। আয়োজকদের এ ব্যাপারে জবাবদিহিতার আওতায় আনার নির্দেশ দেয় স্থানীয় সরকার। শেষ পর্যন্ত আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিক্রিত টিকেটের অর্ধেক মূল্য ফেরতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আয়োজকরা জানিয়েছে যারা এই ম্যাচের জন্য অফিসিয়াল চ্যানেলের মাধ্যমে টিকেট ক্রয় করেছে তাদেরকে ৫০ শতাংশ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে টিকেট সংক্রান্ত আয়োজকদের সব শর্ত মেনে নিতে হবে।
হংকংয়ে না খেলার তিনদিন পরই জাপানের ক্লাব ভিসেল কৌবের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন মেসি। যা নিয়ে বেজায় ক্ষেপে যায় হংকং ও চীন সরকার। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আর্জেন্টিনার নির্ধারিত প্রীতি ম্যাচও বাতিল করে চীন। মেসির অনুপস্থিতিতে অনেকেই চীনকে খাটো করার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।
চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ওয়েইবোতে এক ভিডিও পোস্টে মেসি বলেন, ‘সবাই জানে আমি সবসময়ই প্রতি ম্যাচে খেলতে চাই। এমন যদি আগে থেকে জানা থাকতো যে মূল দলে আমি থাকতে পারছি না তবে হয়তোবা হংকং সফরে দলের সাথে যেতাম না। এখানে রাজনৈতিক কোনো কারণই নেই।’