দেশে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সবশেষ হিসাবে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
রোববার (২৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক গত মার্চ পর্যন্ত খেলাপি ঋণের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, ব্যাংক খাতের মোট ঋণের ৮ দশমিক ৮০ শতাংশই খেলাপি ঋণ।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, খেলাপি ঋণের মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রয়েছে ৫৭ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা বা ১৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলোর রয়েছে ৬৫ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা বা ৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
অন্যদিকে বিদেশি ব্যাংকগুলোর তিন হাজার ৪২ কোটি টাকা বা ৪ দশমিক ৯০ শতাংশ ঋণ খেলাপি। সরকারি মালিকানাধীন বিশেষায়িত তিনটি ব্যাংকের মোট ঋণের ১২ দশমিক ৮০ শতাংশ বা চার হাজার ৭৩২ কোটি টাকা বর্তমানে খেলাপি।
জানা গেছে, গত বছরের মার্চে ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল এক লাখ ১৩ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। গত মার্চে তা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ৩১ হাজার ৬২০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ ছিল এক লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা।
অর্থনীতিবিদদের মতে, ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আদায়ে অনীহা আছে৷ আর এই অনীহার কারণ যারা খেলাপি তারা ক্ষমতাবান৷ বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, সুশাসন না থাকায় ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে। যতদিন না সরকার ব্যাংকের ঋণ ফেরাতে আন্তরিক হবে ততদিন দেশে খেলাপি কমবে না।
সাবেক এই গভর্নর বলেন, মনে হচ্ছে ব্যাংকগুলো ফরেন এক্সচেঞ্জ, আমদানি, রফতানি ও রেমিট্যান্স নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা আপাতত খেলাপি ঋণ আদায়ের বিষয়ে ভাবছে না।