রিয়াল বেটিস আর রিয়াল সোসিয়েদাদ ম্যাচের তখন বিরতি চলছে। নিজেদের মাঠ বেনিতো ভিয়ামারিনে রিয়াল বেটিস এগিয়ে এক গোলে। এ লিডটা ধরে রাখতে পারলেই ১৯৩৫ সালের পর প্রথমবারের মতো লা লিগার শীর্ষ তিনে থেকে বড়দিনের ছুটিতে যাওয়ার কীর্তি দেখতো দলটা। এমনিতেই খুশির অন্ত ছিল না, তখনই ঘটল অদ্ভুত এক ঘটনা। বেনিতো ভিয়ামারিনের আকাশ দেখল বৃষ্টি, সেটা আবার যেন তেন বৃষ্টি নয়, খেলনার বৃষ্টি।
গত রোববার রাতে ঘটেছে এমন ঘটনা। আন্দালুসিয়ান দলটির জন্য অবশ্য এমন কিছু নতুন কিছু নয় মোটেও। প্রতি বড়দিনের আগে সবশেষ হোম ম্যাচে এমন কিছু বেনিতো ভিয়ামারিনে খুব পরিচিত দৃশ্যই। মাঝে এক বছর করোনার কারণে দর্শক আসতে পারেনি মাঠে, তাই গেল বছর দেখা মেলেনি এমন কিছুর। তবে এবার দর্শক ফিরতেই বহুল চর্চিত রেওয়াজের দেখা মিলল আবার।
বড়দিন এগিয়ে আসছে। খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবে শিশুদের একটা বড় আকর্ষণই থাকে সান্তা ক্লজের ঝুলিতে, সেখান থেকেই যে বেরিয়ে আসে পরম আরাধ্য খেলনা। তবে সব শিশুর ভাগ্য অবশ্য সুপ্রসন্ন হয় না। তেমন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্যই বেটিসের এই প্রয়াস।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, আন্দালুসিয়ান ক্লাবটির পক্ষ থেকে ভক্তসমর্থকদের বলে দেওয়া হয়েছিল তারা যেন মাঠে খেলনা নিয়ে আসেন। তবে এক্ষেত্রে বেধে দেওয়া হয়েছিল এক শর্ত। বলে দেওয়া হয়েছিল, খেলনাগুলোকে নরম কিছু হতে হবে, কোনোভাবেই ৩৫ সেন্টিমিটারের বেশি বড় হতে পারবে না, থাকতে পারবে না কোনো ব্যাটারিও।
সমর্থকরা সেসব শর্ত মেনেছেন। প্যান্ডা থেকে শুরু করে অক্টোপাস, পোকেমনসহ নানা রকমের নানান রঙের খেলনা ‘লস বেতিকোসরা’ ছুঁড়ে মেরেছেন মাঠে, যা স্বেচ্ছাসেবকরা কুড়িয়ে নিয়েছেন সোৎসাহে।
গার্ডিয়ান জানাচ্ছে, সেদিন উপস্থিত ৫২,১৫৮ জন দর্শকের কাছ থেকে পাওয়া খেলনার সংখ্যাও নেহায়েত কম ছিল না। ১৯ হাজারেরও বেশি পুতুল সংগ্রহ করেছে ক্লাবটি, যা বড়দিনে বিলিয়ে দেওয়া হবে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে। সমর্থকদেরকে এমন কাজের জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছে বেটিস। এক টুইটের মাধ্যমে সব খেলনার ছবি জুড়ে দিয়ে পোস্ট করেছে দলটি।