পরীমণি-রাজের দাম্পত্য কলহকে গিরগিটির সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। গেল এক সপ্তাহে এতবার রঙ পাল্টেছে যে এর সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে নেটিজেনদের। স্বস্তির কথা হলো, আপাতত এ নাটকের লাগাম টেনেছেন তারা। সংবাদমাধ্যমকে পরীমণির জানিয়েছেন, এখন তারা এক ছাদের নিচেই বাস করছেন।
কিন্তু কীভাবে আস্থা রাখা যায় এ নায়িকার এই মন্তব্যে? কারণ তিনি তো আর খেলা কম দেখাচ্ছেন না! সকালে বিচ্ছেদের কথা বলছেন তো রাতে শোনাচ্ছেন মিলনের গান। আবার ভোররাতে বাজাচ্ছেন বিরহের বীনা।
প্রমাণস্বরূপ রাজ-পরীর মিলে যাওয়া নিয়ে অভিনেত্রী শিরীন শিলার ফেসবুক পোস্টের কথা উল্লেখ করা যায়। এই তো গত ৪ জানুয়ারি দিবাগত রাতে পরীমণি-রাজ-রাজ্যের সঙ্গে ভিডিও কলে কথোপকথনের মুহূর্তের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে শিলা জানিয়েছিলেন, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে নতুন করে সুখের সংসার গড়ে তুলেছেন রাজ-পরী।
শিলার ওই পোস্টের পর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় পরীর সঙ্গে। তিনি খবরের শিলার ওই পোস্টের সত্যতা নিশ্চিত করেন। পরী বলেন, ‘রাজ দুই দিন বাইরে থাকার পর আবার ঘরে ফিরে এসেছে। ৩১ ডিসেম্বর ভোরে সে বাসার বাইরে চলে গিয়েছিল। ৩ তারিখ (জানুয়ারি) আবার ফিরে এসেছে।’
পরীর ওই বক্তব্যে বোঝা যায়, শিলার পোস্ট দেওয়ার আরও দুই দিন আগে মিলে গেছেন তারা। কিন্তু তারপরও বিষয়টি গোপন রেখে বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলমান রাখার কারণ জানতে চাইলে এ খবর বের করে আনার ব্যর্থতা সাংবাদিকদের ঘাড়ে চাপিয়ে বলেন, ‘এটা সাংবাদিকদের ব্যর্থতা।’
পরীর এই কথা ধরলে একটি প্রশ্ন উঁকি দেয়। এটি কি সাংবাদিকদের ব্যর্থতা নাকি পরীমণিই খেলছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে? শুধু সাংবাদিকদের নয় এ নায়িকা যে সবাইকে বিভ্রান্ত করছেন ৫ জানুয়ারির কয়েকটি সংবাদই তার প্রমাণ দিতে সক্ষম।
সাংবাদিকদের কাঁধে ব্যর্থতার দায় চাপালেও পরদিন দুপুরেই সংবাদকর্মীদের বিভ্রান্ত করেন পরীমণি। শিলার ওই পোস্টের প্রসঙ্গ টেনে সেদিন বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম কথা বলে তার সঙ্গে। রাজ-পরীর ঝামেলা মিটে গেছে কি না—জানতে চাইলে একটি সংবাদমাধ্যকে বিতর্কিত এ নায়িকা জানান, ঝামেলা মেটেনি। সেসময় রাজও গান ধরেন পরীর সুরে। তিনিও জানান, সন্তানের জন্য এক হয়েছিলেন তারা। এক ছাদের নিচে ফেরার সম্ভবনা নেই।
এর একদিন না যেতেই এ দম্পতি স্বভাবসুলভভাবে ফের ভোল পাল্টান। যে মুখে তারা বলেছিলেন একসঙ্গে জীবন যাপন সম্ভব না সেই মুখেই জানান, তাদের মাঝে আর কোনো সমস্যা নেই। সব ভুলে এক পথে হাঁটছেন তারা। এ প্রসঙ্গে রাজ বলেন, ‘একসঙ্গে তো আছি, বিন্দাস আছি। খাচ্ছি-দাচ্ছি, ঘুমাচ্ছি। পরী অনেক কথা বলছে, শুনছি। আমাদের মধ্যে এখন আর কোনো সমস্যা নেই। রাজ্যকে নিয়ে আমরা ভালো আছি।’
অন্যদিকে পরী বলেন, গত দুই দিন হলো রাজ ও আমি এক বাসায়, একসঙ্গেই আছি। তবে ভবিষ্যতে আমাদের সম্পর্কের কী হবে, তা এখনও সঠিকভাবে বলতে পারছি না।
পরীমণির শেষ মন্তব্যে অনুমেয়, তিনি নিজেই নিজের ওপর আস্থাশীল নন। নিশ্চিত না তার পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে। সংসার জীবনের মতো একটি পবিত্র বিষয়কেও সস্তা করে তুলেছেন সবার কাছে।