এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি) জানায়, সকল সামরিক ও বেসামরিক ফ্লাইটের জন্য আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের ফ্লাইট শিডিউল জেনে বিমানবন্দরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, পাক-ভারত যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে শনিবার ভোররাতে পাকিস্তান তার আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করে। তবে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পরই এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে।
ভারতের পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। দেশটির ৩২টি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে, যা ১৪ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
এই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছে ৭ মে থেকে শুরু হওয়া টানা সামরিক উত্তেজনা। ওই দিন ভারত আজাদ কাশ্মিরসহ পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। জবাবে পাকিস্তানও পাল্টা হামলা চালায় এবং পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি করে।
এরপর ৯ মে মধ্যরাতে ভারত পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালালে উত্তেজনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায়। পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও ভারতের সামরিক ঘাঁটিতে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালায়।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার জানান, তারা শান্তি চায় কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কখনও আপস করবে না। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী ১২ মে আবারও দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বিষয়টি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ এখন যুদ্ধ নয়, শান্তির পথে হাঁটতে রাজি হয়েছে—এটা এই অঞ্চলের জন্য বড় সুখবর।