দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে ৩০০ আসনে মোট ২ হাজার ৭৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরমধ্যে খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ৩২২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিভাগের ১০ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এসব মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।
প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, বিভাগের ৩৬ আসনে ৩২২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন খুলনার ছয়টি আসনে ৫৩ জন। আর সবচেয়ে কম মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে মাগুরার দুটি আসনে। এই দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১৫ প্রার্থীর। এছাড়া যশোরের ছয়টি আসনে ৪৬ জন, কুষ্টিয়ার চারটি আসনে ৪৬ জন, ঝিনাইদহের চারটি আসনে ৩৪ জন, সাতক্ষীরার চারটি আসনে ৩৭ জন, বাগেরহাটের চারটি আসনে ৩০ জন, মেহেরপুরের দুটি আসনে ২৫ জন, চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে ২০ জন ও নড়াইলের দুটি আসনে ১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
খুলনা
খুলনার ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫৩ জন। এরমধ্যে খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী ননী গোপাল মন্ডল, জাতীয় পার্টির কাজী হাসানুর রশিদ, জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির গোবিন্দ চন্দ্র প্রামানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলী।
খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ সালাহউদ্দিন, জাতীয় পার্টি মো. গাউসুল আজম, গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের দেবদাস সরকার, জাকের পার্টির ফরিদা পারভীন, ইসলামী ঐক্যজোটের হিদায়েতুল্লাহ, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট) বাবু কুমার রায়, বিএনএম প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সাঈদুর রহমান।
খুলনা-৩ (দৌলতপুর-খালিশপুর-খানজাহান আলী) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম কামাল হোসেন, জাতীয় পাটির মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথী।
খুলনা-৪ (রূপসা-তেরখাদা-দিঘলিয়া) আসনে ১৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুস সালাম মুর্শেদী, জাকের পার্টির শেখ আনছার আলী, জাতীয় পার্টির মো. ফরহাদ আহমেদ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির শেখ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেস মনিরা সুলতানা, ইসলামী ঐক্যজোটের রিয়াজ উদ্দীন খান, বিএনএম প্রার্থী এস এম আজমল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এস. এম. মোর্ত্তজা রশিদী দারা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুয়েল রানা, স্বতন্ত্র প্রার্থী এমডি এহসানুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. রেজভী আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আতিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এইচ এম রওশান জামির।
খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে ৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জাতীয় পাটির মো. শাহীদ আলম, জাকের পার্টি সামাদ শেখ, আওয়ামী লীগের নারায়ন চন্দ্র চন্দ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফুলতলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ সেলিম আকতার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের এস. এম. এ. জলিল ও ইসলামী ঐক্যজোটের তরিকুল ইসলাম।
এছাড়া খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে ১২ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের মো. রশীদুজ্জামান, জাতীয় পাটির মো. শফিকুল ইসলাম মধু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এন পি পি) মো. আবু সুফিয়ান, জাকের পাটির শেখ মর্তুজা আল মামুন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী মির্জা গোলাম আজম, বিএনএম প্রার্থী এস এম নেওয়াজ মোরশেদ, তৃণমূল বিএনপির গাজী নাদীর উদ্দীন খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম রাজু, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোস্তফা কামাল, স্বতন্ত্র প্রার্থী জি এম মাহবুবুল আলম, স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. অহিদুজ্জামান মোড়ল।
বাগেরহাট
বাগেরহাটের চারটি আসনে ৩০ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাট) আসনে আওয়ামী লীগের শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, জাতীয় পার্টির মো. কামরুজ্জামান, জাকের পার্টির শেখ গোলাম ফারুক চান, তৃণমূল বিএনপির মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) মো. মঞ্জুর হোসেন শিকদার, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বাসুদেব গুহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আতাউর রহমান আতিকী এবং কাজী রবিউল মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
বাগেরহাট-২ (কচুয়া-বাগেরহাট সদর) আসনে আওয়ামী লীগের শেখ তন্ময় এমপি, জাতীয় পার্টির হাজরা সহিদুল ইসলাম, জাকের পার্টির খান আরিফুর রহমান, তৃণমূল বিএনপির মরিয়ম সুলতানা, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) সোলায়মান শিকদার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম আজমল হোসেন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে আওয়ামী লীগের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, জাতীয় পার্টির মো. মনিরুজ্জামান মনি, জাসদের শেখ নুরুজ্জামান মাসুম, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএমম) সুব্রত মন্ডল, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মফিজুল ইসলাম গাজী, তৃণমূল বিএনপির মি. ম্যানুয়েল সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস আলী ইজারাদার ও শেখ নিজাম উদ্দিন আহমেদ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
এছাড়া বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসনে আওয়ামী লীগের এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ, জাতীয় পার্টির সাজন কুমার মিস্ত্রি, জাকের পার্টির বাদল রেজা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মুহাম্মদ লোকমান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মুহাম্মদ বদরুজ্জামান, বাংলাদেশ ন্যাশনাল মুভমেন্টের (বিএনএম) রেজাউল ইসলাম রাজু, তৃণমূল বিএনপির লুৎফর নাহার রিক্তা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা এম আর জামিল হোসাইন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
যশোর
যশোরে ছয়টি আসনে ৪৬ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে যশোর-১ (শার্শা) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম, সোহরাব হোসেন, নাজমুল হাসান এবং জাকের পার্টির সবুর খান ও জাতীয় পার্টির আক্তারুজ্জামান মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী ডা. তৌহিদুজ্জামান তুহিন, জাতীয় পার্টির ফিরোজ শাহ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফের শামছুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ও এসএম হাবিবুর রহমান, জাকের পার্টির সাফরুজ্জামান ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আব্দুল আওয়াল মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
যশোর-৩ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিত কুমার মাথ, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মারুফ হাসান কাজল, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোহাম্মদ তৌহিদুজ্জামান, জাকের পার্টির মাহবুব আলম, তৃণমূল বিএনপির কামরুজ্জামান, জাকের পার্টির মহিবুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের শেখ নুরুজ্জামান ও ন্যাশনাল পিপলস এর অ্যাড. সুমন কুমার রায় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
যশোর-৪ (বাঘারপাড়া ও অভয়নগর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়, সন্তোষ কুমার অধিকারী, তৃণমূল বিএনপির অব. লে. ক. এম শাব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সুকৃতি কুমার মন্ডল, ইসলামি ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস আলী, জাকের পার্টির লিটন মোল্লা ও জাতীয় পার্টির জহুরুল হক মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী ইয়াকুব আলী, কামরুল হাসান বারী, হুমায়ুন সুলতান ও আমজাদ হোসেন লাভলু, তৃণমূল বিএনপির আবু নসর মোহাম্মদ মোস্তফা, ইসলামী ঐক্যজোটের হাফেজ মাওলানা নুরুল্লাহ আব্বাসী, জাকের পার্টির হাবিবুর রহমান এবং জাতীয় পার্টির এমএ হালিম মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
এছাড়া যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী হোসাইন মোহাম্মদ ইসলাম, আজিজুল ইসলাম, এইচ. এম আমির হোসেন, জাতীয় পার্টির জিএম হাসান, জাকের পার্টির সাইদুজ্জামান মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
নড়াইল
নড়াইলের দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৬ জন প্রার্থী। এরমধ্যে নড়াইল-১ ( সদরের আংশিক ও কালিয়া) আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বিএম কবিরুল হক মুক্তি, তার স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী চন্দনা হক, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির নজরুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির শ্যামল চৌধুরী, জাতীয় পার্টির মনোনীত লিটন মোল্যা, জাতীয় পার্টির (জেপি) শামীম আরা পারভীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সিকাদার মো. শাহাদৎ হোসেন।
নড়াইল-২ (সদরের আংশিক ও লোহাগড়া) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজা, বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান (সাবেক সংসদ সদস্য), জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট ফায়েকুজ্জামান ফিরোজ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. মনিরুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমান মিজান, ইসলামী ঐক্যজোটের মাহাবুবুর রহমান, গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমী লিটু ও মো. নূর ইসলাম।
সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় উৎসব মুখুর পরিবেশে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন ৩৭ জন প্রার্থী। এরমধ্যে সাতক্ষীরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফিরোজ আহমেদ স্বপন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মুজিবুর রহমান, শেখ নূরুল ইসলাম, এস.এম মুজিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির সৈয়দ দিদার বখত, জাসদের প্রার্থী শেখ মো. ওয়াবাদুস সুলতান, ওয়ার্কাস পার্টির মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ইয়ারুল ইসলাম, জাকের পার্টির মো. খোরশেদ আলম, মুক্তিজোটের প্রার্থী শেখ মো. আলমগীর, স্বতন্ত্র থেকে মো. নূরুল ইসলাম ও তৃণমূল বিএনপির সুমি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে মো. আনোয়ার হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনছার আলী, জাকের পার্টি থেকে শেখ ইফতেখার আল মামুন সুমন, ওয়ার্কাস পার্টির তৌহিদুর রহমান, জাতীয় পার্টির মো. আশরাফুজ্জামান, বিএনএম প্রার্থী কামরুজ্জামান বুলু, তৃণমূল বিএনপির মোস্তফা ফারহান মেহেদী, মুক্তিজোট প্রার্থী আব্দুল আজিজ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এনফান বাহার বুলবুল।
সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা.আ.ফ.ম রুহুল হক, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দলের তরিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল হামিদ, জাকের পার্টির মো. মনজুর হাসান, তৃণমূল বিএনপির রুবেল হোসেন ও জাতীয় পার্টির মো. আলিফ হোসেন।
এ ছাড়া সাতক্ষীরা-৪ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম আতাউল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদা খানম, তৃণমূল বিএনপির আসলাম আল মেহেদী, বাংলাদেশ কংগ্রেস থেকে শফিকুল ইসলাম, বিএনএম থেকে গোলাম রেজা, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ ইকরাম ও জাতীয় পার্টির মাহবুবুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গা দুটি আসনে ২০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে চুয়াডাঙ্গা ১ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন), জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরি, জাকের পার্টির সালাম উদ্দিন, তৃণমূল বিএনপির তাইজাল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, রাজ্জাক খান রাজ, শেখ শামসুল আবেদিন খোকন, আফরোজা পারভীন ও এম শহিদুল ইসলাম।
চুয়াডাঙ্গা ২ আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর, জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) দেওয়ান মো. ইয়াসিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাসেম রেজা, নূর হাকিম, আব্দুল মালেক মোল্লা, মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ ও নজরুল মল্লিক।
মেহেরপুর
মেহেরপুরের দুটি আসনে ২৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে মেহেরপু-১ আসনে নৌকার প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আবদুল মান্নান, সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিন, অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদ, ন্যাশলনাল পিপলস পার্টির তরিকুল ইসালম লিটন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট বাবুল জোম, জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী মওলাদ আলী খান ও জাকের পার্টি সাইদুল আলম শাহিন।
মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডা. নাজমুল হক সাগর, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মকবুল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদুল হক জুয়েল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক অতিরিক্ত সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির আব্দুল গণি, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টি নুর আহমদ বকুল, জাতীয় পার্টির (জাপা) মো. কেতাব আলী, জাকের পার্টির মো. সামসুদ্দোহা সোহেল, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আল ফারুক, এনপিপির মো. গোলাম রসুল, সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মো. শাহজালাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহের চারটি আসনে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হাই, জাতীয় পার্টির মনিকা আলম, স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির কেএম জাহাঙ্গীর মাজমাদার, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের আবু বকর, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আনিছুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে শিহাবুজ্জামান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহ-২ আসন থেকে বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ মনোনীত তাহজীব আলম সিদ্দিকী, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, জাসদ সমর্থিত ফজলুল কবির, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মাহফুজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, তৃণমূল বিএনপির জামিরুল ইসলাম, বিএসপি নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের শরীফ মোহাম্মদ বুলবুল হায়দার, এনপিপির মিজানুর রহমান মিজু, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির আব্দুল হান্নান খাঁ ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) খোন্দকার হাফিজুর রহমান ফারুক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
ঝিনাইদহ-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন মিয়াজী, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল, জাতীয় পার্টির আব্দুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ, স্বতন্ত্র প্রার্থী টি এম আজিবর রহমান, জাকের পার্টির বাবুল হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ, জাকের পার্টির ইসাহাক আলী বিশ্বাস, জাতীয় পার্টির এমদাদুল ইসলাম বাচ্চু, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম ও তৃণমূল বিএনপির নুর উদ্দিন আহম্মেদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
মাগুরা
মাগুরার দুটি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৫ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মাগুরা-১ (মাগুরা সদর ও শ্রীপুর) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৭ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন, জাতীয় পার্টির মো. সিরাজুস সায়েফিন সাঈফ, জাকের পার্টির মো. মাসুদ পারভেজ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট বিএনএফের কে.এম মোতাসিম বিল্লা, তৃণমূল বিএনপির সনজয় কুমার রায় (রনি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঞ্জয় কুমার ভাদুরী ।
এদিক মাগুরা-২ (মহাম্মদপুর ও শালিখা) আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৮ জন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. বীরেন শিকদার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের অ্যাড. কাজী রেজাউল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মশিয়ার রহমান, জাকের পার্টির মো. আলী হায়দার, স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শরীফ উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মো. আসাদুজ্জামান, জাতীয় পার্টির মো. মুরাদ আলী ও তৃণমূল বিএনপির মো. আখিদুর ইসলাম।
কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়ার চারটি নির্বাচনী আসনে নির্বাচনে অংশ নিতে ৪৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ. কা. ম. সরওয়ার জাহান বাদশাহ, জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার জামিল জুয়েল, জাসদের শরিফুল কবির স্বপন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মজিবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. ফজুলল হক, জাকের পার্টির প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান উৎপল, মুক্তজোটের সাজেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল হক চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজ আলম মামুন, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজমুল হুদা পটল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুস্তানজিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইফতেখার মাহমুদ, জাতীয় পার্টির ডা. শহিদুল ইসলাম ফারুকি, বিএনএম পার্টির শেখ আরিফুর রহমান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশের বাবুল আক্তার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল আরেফিন, সাম্যবাদী দলের আনোয়ার হোসেন বাবলু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুজ্জামান নবাবসহ ১৩ জন।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাসদের গোলাম মহাসিন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) নাফিজ আহমেদ খান টিটু, মেয়র পুত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু, স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুজ্জামান সেতু, এনপিপির ফরিদ উদ্দিন শেখ, তরিকত ফেডারেশনের মেহেদি হাসান রিজভি, বিএনএম’র কে এম জহুরুল ইসলাম ও জাকের পার্টির আবু আশরাফ শাহিনুরসহ ১০ জন।
কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রউফ, তৃণমূল বিএনপির আবু সামস খালেকুজ্জামান, তরিকত ফেডারেশনের আলতাফ হোসেন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আইনুদ্দিন, নৈশ প্রহরী খাইরুল আলম, বাংলাদেশ কংগ্রেসের রাশিদুল ইসলাম ও এনপিপির শহিদুল ইসলাম মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।