মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ‘পুঞ্জিবাসীদের জীবনজীবিকার সুরক্ষাই প্রথম অগ্রাধিকার’ বলে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা তুলে ধরে জোবাইদা নাসরীন আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসন ও কর্তৃপক্ষের আশ্বাস ও তৎপরতার ওপর শতভাগ আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে চাই। আমরা দেখতে চাই রাষ্ট্র রাজনৈতিকভাবে পানপুঞ্জির ভূমি সংকটের স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করেছে।’
চা-বাগান কর্তৃপক্ষ, চা-বোর্ড, ভূমি মন্ত্রণালয়, বন বিভাগ, আদিবাসী সংগঠন, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজ সকলের মতামত ও পরামর্শেই এই সংকটের গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব বলেও মনে করেন জোবাইদা নাসরীন। সভায় বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের ভূমি সমস্যা সমাধানে নতুন ভাবে ভূমি ও বন-নীতি করা লাগবে। সমতলের নৃগোষ্ঠীর জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌসের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক উদ্যোগের নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, বাপা’র কেন্দ্রীয় সদস্য আমিনুর রসুল, লেখক পাভেল পার্থ প্রমুখ।