বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ আটজনকে খালাস দিয়ে রায়ের পর্যবেক্ষণে মৌখিকভাবে এসব কথা বলেন।
বিচারক বলেন, এ মামলায় সেলিম ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে পিটিয়ে জোর করে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেওয়া হয়। সে কারণে এই ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ট্রু বলার সুযোগ নাই। এর উদ্দেশ্য হলো গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের জড়িত করার জন্য জোরপূর্বক এই জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বুঝা যায়, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করে এই মামলা করা হয়েছে। তাই সকল আসামিকে বেকসুর খালাসের রায় ঘোষণা করা হলো।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরপর দুদকের পক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। তারা আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি জানিয়ে তারা খালাসের প্রার্থনা করেন।
২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করে দুদক। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন।