দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে হলে সরকারই আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেবেন। যেহেতু সরকারি আদেশে তিনি এখন মুক্ত। মঙ্গলবার (৪ মে) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মত দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
সরকারি আদেশে খালেদা জিয়া মুক্ত আছেন, এখন বিদেশ নিতে গেলে আদালতের অনুমতি লাগবে কিনা এমন প্রশ্নে অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ অনুযায়ী সরকার তাকে মুক্তি দিয়েছে। এখন এটা (বিদেশ নিতে) করতে গেলে আদালতে আসতে হবে, আমার মনে হচ্ছে আদালতে আসতে হবে। তারপরও আমি না দেখে বলতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, ওনার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসা কতটুকু প্রয়োজন। বাংলাদেশে কি সেটা আছে, না থাকলে সরকার সব কিছু দেখে বিবেচনা করবে। সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে, যদি আইন অনুযায়ী প্রয়োজন হয় তাহলে আদালতে আসবে। সরকার বিবেচনা করবে। কারণ এটাতো সরকারি আদেশ। পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সরকার নির্ধারণ করে যেখানে প্রয়োজন সেখানে আসবেন। সরকার এটা ঠিক করবেন এটার প্রয়োজন আছে কিনা।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউ-তে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে গত বছরের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার। এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।