বিদেশে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার বিষয়টি ইতিবাচক ভাবে দেখছে সরকার জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ আবেদনটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বুধবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডি বাসায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। এরআগে বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডি বাসায় যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। পরিবারের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে লিখিত আবেদন করেন তিনি।
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক জাহিদ জানান, এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারী কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এ পযর্ন্ত খালেদা জিয়ার যে সব শারীরিক পরীক্ষা হয়েছে, তা রিভিউ করছেন মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা। এদিকে, বুধবার বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং ডা. এফ এম সিদ্দিকী হাসপাতালে খালেদা জিয়ার কক্ষে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন।
১১ এপ্রিল করোনা শনাক্তের পর বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ১৪ দিন পরও তার করোনা নেগেটিভ না আসায় ২৭ এপ্রিল ভর্তি করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় সোমবার বিকেল থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয় খালেদা জিয়াকে। সেখানেই দশ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে খালেদা জিয়ার।