আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়েছে। সেখানে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন বিএনপি প্রধান। খালেদার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে তিনজন চিকিৎসক এসেছিলেন তারা দেশে ফিরে গেছেন। তিনজনের মধ্যে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে দুইজন এবং শনিবার চলে গেছেন অন্যজন।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা দিতে গত ২৫ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাংলাদেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রের তিন চিকিৎসক। তারা হলেন— যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের লিভার ও কিডনি প্রতিস্থাপন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হামিদ আহমাদ আবদুর রব, ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস এবং হেপাটোলজির অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন। তাদের নেতৃত্বে ২৬ অক্টোবর খালেদা জিয়ার যকৃতের রক্তনালিতে সফল অস্ত্রোপচা হয়।
পরদিন সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ম্যাডামের চিকিৎসার জন্য বিদেশে থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় তারা অত্যন্ত সফলভাবে, তারা যে কাজে এসেছিলেন, সেই পদ্ধতি (অপারেশন) তারা করতে পেরেছেন।’
দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে দুটি শর্তে ছয় মাসের মুক্তি দেন। ২৫ মার্চ কারাগার থেকে মুক্ত হন তিনি। এরপর কয়েকবার তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।
গুলশানের বাসা ফিরোজায় থাকাকালীন বেশ কয়েকবার অসুস্থ হলে বিএনপি প্রধানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট অসুস্থ হলে ৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। তার হার্টে তিনটি ব্লকের মধ্যে একটিতে রিংও পরানো হয়েছে।