মানিকগঞ্জের ঘিওরে নিজ ঘরে খাটের ওপর থেকে স্ত্রী ও ২ মেয়ের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধারের পর গৃহকর্তা এক গ্রাম্য দন্তচিকিৎসককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ মে) দিবাগত রাতে ঘিওর উপজেলার আঙ্গুরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আসাদুজ্জামান রুবেল (৪০)। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি একজন গ্রাম্য দন্তচিকিৎসক। বানিয়াজুরী এলাকায় তার একটি চেম্বার রয়েছে। নিহত লাভলী আক্তার (৩৫) গৃহিণী ছিলেন, বড় মেয়ে ছোঁয়া (১৬) বানিয়াজুরি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং ছোট মেয়ে কথা (১২) বানিয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, ২০ বছর পূর্বে আসাদুজ্জামান রুবেল প্রতিবেশী সাইজুদ্দিনের মেয়ে লাভলী আক্তারকে বিয়ে করেন। দুই কন্যাসন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি শ্বশুরবাড়িতে একটি টিনের ঘরে থাকতেন। তিনি প্যারামেডিক্যাল থেকে দন্তচিকিৎসার কোর্স শেষ করে এলাকায় দাতের চিকিৎসা করতেন। কয়েকদিন আগে একজনকে ভুল চিকিৎসার কারণে তার এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রোববার সকালে সেই জরিমানার টাকা পরিশোধের কথা ছিল বলে জানা গেছে।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন বিপ্লব বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা সকাল সাড়ে ৬টায় ঘটনাস্থলে আসি। নিজঘরে এক গৃহবধূ ও দুই কন্যাকে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের ভেতর খাটের ওপর তিনজনের জবাই করা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার পর আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তিনি ঋণগ্রস্ত ও হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এসব কারণেই তিনি হয়তো স্ত্রী ও ২ কন্যাসন্তানকে হত্যা করে থাকতে পারেন। শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানতে ইতোমধ্যে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই রহস্য উদঘাটন করতে পারবো।