খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় এখনো খাগড়াছড়ি শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোজনিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর থানায় দুটি মামলা হয়।
বুধবার (০২ অক্টোবর) সকালে খাগড়াছড়ি আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিহত শিক্ষকের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এদিন তার পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদর থানায় দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ধর্ষণ মামলা এবং পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অপর একটি মামলা করেছে।
এছাড়া শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়কের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট ঘুরে দেখেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে সহিংসতার ঘটনার বিবরণ শুনেছেন তারা।
এদিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে খাগড়াছড়ি জেলা সদর ও পৌর এলাকায় জারি করা অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা বলবৎ আছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। এ ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়িতে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক স্কুলশিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিক্ষকের নাম আবুল হাসনাত মুহাম্মদ সোহেল রানা। তিনি জেলা শহরের টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই স্কুলের অধ্যক্ষের রুমে নিয়ে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি শহরে পাহাড়ি বাঙালি সম্প্রদায়ের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়ক, মহাজন পাড়া এলাকায় বেশ কয়েকটি দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সদর উপজেলায় এখনো ১৪৪ ধারা জারি আছে।