সরকার কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। রফতানিমুখী শিল্প কারখানা ছাড়া সব কিছুই বন্ধ থাকবে এ সময়। কড়াকড়ি আরোপ করা হবে চলাচলেও। লকডাউনের মেয়াদ এরপরে আরও বাড়বে কি না তা কেউই বলতে পারছেন না। আর এরই মাঝে নিজের কাছে নগদ টাকা রাখতে ব্যাংকে ভিড় জমিয়েছেন গ্রাহকরা। সাধারণ গ্রাহকরা বলছেন, নিত্যপণ্যের বাজার খোলা থাকলেও ব্যাংক বন্ধ থাকবে। সে সময় প্রয়োজনীয় খরচের জন্য টাকা হাতে রাখতে চাই। সোমবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংক ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে প্রতিটি শাখাতেই। মাস্কবিহীন কোনো গ্রাহককে ব্যাংকের শাখাগুলোতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে গ্রাহের হাত স্যানিটাইজ করে দিয়ে মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।
ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনের কথা ভেবে অনেকেই আগেভাগেই ব্যাংকের কাজ সেরে রাখছেন। অনেকেই বকেয়া ইউটিলিটি বিল পরিশোধ করছেন। তবে টাকা জমার চেয়ে টাকা উত্তোলনই বেশি হচ্ছে আজ।
এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংক কর্মকর্তা আফজাল হোসেন বলেন, লকডাউনে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকতে পারে এমন আশঙ্ককা থেকে গ্রাহক ব্যাংকে এসে ভিড় জমাচ্ছেন টাকা উত্তোলনের জন্য। আমরা তাদের চাহিদা মতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে গ্রাহক উপস্থিতি বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে।
পূবালী ব্যাংক মৌচাক শাখার গ্রাহক মো. সোহান বলেন, আজ আমাকে টাকা উত্তোলন করতে হবে। সামনে লকডাউন আছে, তাই আগামীকাল আরও বেশি গ্রাহক উপস্থিতি থাকবে। টাকা এখন প্রয়োজন না হলেও কাছে রাখছি। বলা যায় না, কঠোর লকডাউন কয়দিন থাকবে। ব্যাংক খোলা থাকবে কি না তার জানি না।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখতে সার্কুলার জারি করেছিল। সে মোতাবেক লেনদেন চলছিল সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। তবে লেনদেনে গ্রাহক উপস্থিতি বাড়ায় লেনদেনের সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন সূচি অনুযায়ী, আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) ও মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ব্যাংকিং লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষ করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা ৩টা পর্যন্ত।