শুক্রবার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে গণঅধিকার পরিষদ আয়োজিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে সংহতি সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সব সময় সংবিধান অনুযায়ী অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু তার এ কথা যে পুরোটাই মিথ্যা তার বড় প্রমাণ ২০১৮ সালের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের আগে তিনি দেশবাসীর সামনে বলেছিলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হবে। অথচ আমরা দেখলাম আগের রাতে ভোট হয়ে গেল। আর ২০১৪ সালে কেমন ভোট হয়েছে তাও আমরা দেখেছি। ওই নির্বাচনে আমরা যাইনি।
বিএনপি মহাসচিবের দাবি, আবারও শেখ হাসিনা একটি ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচন করতে চান। সে লক্ষ্যে এগোচ্ছেন তিনি। কিন্তু এবার দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। তারা শেখ হাসিনাকে আর ক্ষমতায় না রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মানুষ এখন সব ভয়কে জয় করে রাজপথমুখী।
‘এবার শুধু দেশের জনগণ নয়, গোটা পশ্চিমাবিশ্ব শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, সারা বিশ্ব বলছে, এখানে নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
দেশের সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রতি মাসে রিজার্ভ কমছে। গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানি কমছে। ঠিকমতো শ্রমিকদের ব্যবসায়ীরা বেতন দিতে পারছে না। মানুষ ঠিকমতো খেতে পারে না। কিন্তু অত্যাচারের ভয়ে কেউ কথা বলেন না। প্রতিবাদ করতে যাওয়ায় বিএনপির ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। ৪৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অনেক হয়েছে এবার যাও– এমন স্লোগান তরুণদের কণ্ঠে জোরালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে হবে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে তাকে জনগণের প্রবল আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত করা হবে। তারপর একটি নিরপেক্ষ ভোট হবে। সেই ভোটে অংশ নেবে বিএনপি।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহীম বীরপ্রতীক, গণফোরামে নেতা সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, এনপিপির সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম প্রমুখ।