প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরাই দেশের জনগণের কল্যাণে কাজ করি। কিন্তু বিএনপি কী করে? তারা ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে কত মেয়েকে নির্যাতন করেছে? বাংলাদেশের এমন কোনো জায়গা নেই তারা অত্যাচার করেনি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে নির্যাতন করেছিল, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসে ঠিক একইভাবে অত্যাচার করেছিল।
শনিবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে মহিলা আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট একটি কালো দিন। সেদিন জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। একইসঙ্গে আমার মাকে হত্যা করা হয়। মেয়েরা স্বামীর কাছে কত কিছু দাবি করে, কিন্তু আমার মা বাবার কাছে কখনো কিছু চাননি। ঘাতকের দল যখন আমার বাবাকে হত্যা করে, তখন আমার মা বলেছিলেন, আমার স্বামীকে হত্যা করেছ, আমাকেও হত্যা করো।
তিনি আরো বলেন, হানাদার বাহিনী মেয়েদের ধরে ক্যাম্পে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করেছে। তখন জাতির পিতা সুইজারল্যান্ড থেকে নার্স এনে তাদেরকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। জাতির পিতা সবসময় নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করতেন।
সন্তানদের বিষয়ে অভিভাবকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজের সন্তান যেন জঙ্গিবাদে না জড়ায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে সময় দিতে হবে। ছেলেকে সঠিক পথে রাখতে মাকেই বেশি অবদান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এক সময় ঘাটতির দেশ ছিল। আজ খাদ্য ঘাটতি নেই। তারপরও আপনাদের কাছে অনুরোধ, যেন কোনো জমি অনাবাদি না থাকে। প্রত্যকে যা পারেন তাই চাষ করুন। আমি চাই দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়।
দেশে একমাত্র আওয়ামী লীগই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ডায়ালগ করতে হবে? কাদের সঙ্গে? সেই খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার সঙ্গে, যে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আবার এদের সঙ্গে ডায়ালগ করতে হবে কেন?
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সম্মেলনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।