সরকারের বিরুদ্ধে গুম-খুনের অভিযোগ তুলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কয়েক বছর ধরে ক্ষমতাসীনরা গুম-খুন করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে আসছে। তাই দেশ থেকে গুম-খুন বন্ধে সরকার পতনের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (৯ এপ্রিল) রাজধানীর লেডিস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল আয়োজিত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গুম-খুনের শিকার হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের স্বজনদের সম্মানে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘জাতি সংঘের চার্টারে এনফোর্স ডিজঅ্যাপিয়ারেন্সকে বলা হয় চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ। এই কাজটি আওয়ামী লীগের সরকার গত কয়েকবছর ধরে করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গুম, খুন, হত্যা করেছে।
আওয়ামী লীগকে সরাতে না পারলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব থাকবে না দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে গুম-খুন, গ্রেফতার-নির্যাতন বন্ধ করতে হলে সবার আগে যে বিষয়টি দরকার, এই সরকারকে সরিয়ে সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সেটা আন্দোলন এবং গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে করতে হবে। ’কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, নাগরিক ঐক্যর আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গুম হওয়া নেতা ইলিয়াস আলীর স্ত্রী তাহসীনা রুশদীর লুনা, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সাহিদা রফিক, শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কৃষক দলের নেত্রী রোজিনা খান ডলি, নাসির হায়দার, মামুনূর রশীদ প্রমুখ।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি। এ সময় বিগত দিনে গুম-খুনের শিকার ৪৮টি পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক।