রাজশাহীর বাগমারায় এবার চামড়ার ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে চামড়া বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। এমনকি ক্রেতা সংকটের কারণে চামড়া ফেলে দেওয়া হচ্ছে নদীতে। এ নিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঈদুল আযহার পশুর চামড়া নিয়ে এলাকার ব্যবসায়ী ও মুসল্লীরা বিপাকে পড়েছেন। সরকারি ঘোষণায় মৌসুমের চামড়া প্রতি বর্গফুট গরু ৪০ টাকা, ছাগল ২০ টাকা, বকরী ১৫ টাকা বিক্রি হবার কথা থাকলেও বাজারে এসে এসব চামড়ার কোন ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এলাকার চামড়া ব্যবসায়ীদের দাবি চামড়া প্রক্রিয়াজাত করণে লবণের বিশেষ প্রয়োজন। লবণের দাম বেশি ও সংকটে তারা চামড়া ক্রয় করতে পারেনি। উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজারের চামড়া ব্যবসায়ী মন্জুর রহমান জানান, কোরবানির চামড়া জমা রয়েছে তা কি করে কোথায় বিক্রি করবেন এ চিন্তায় গত দু’দিন ধরে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি।
এদিকে চামড়ার ব্যাপক দরপতন ও ক্রেতা সংকটের কারণে ভবানীগঞ্জ হাটে চামড়ার ব্যাপক স্তুপ পড়ে যায়। এসব চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়ে যায় হাট কমিটি। পরে বাধ্য হয়ে হাট কমিটির লোকজন সুইপার দিয়ে এসব চামড়া ফকিরানি নদীতে ফেলে দেয়।