মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ হুঁশিয়ারি দেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির সাবেক এই দুর্নীতিবিরোধী কর্মকর্তা।
এদিন সকালে বিসিবির মানবসম্পদ পুনর্গঠনের জন্য নিয়োগ পাওয়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বসেছিলেন মার্শাল। পরে তিনি বিসিবির পরিচালক এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সভা করেন। সেখানে নিজের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন দেন মার্শাল। তার পরামর্শ মেনে নতুন করে সাজানো হবে বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিট।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগেই বড় হুমকি দুর্বলতা। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ পেশাদারভাবে না চললে এবং যথেষ্ট নিরাপত্তাবেষ্টিত না হলে দুর্নীতিবাজরা সেটিকে লক্ষ্যবস্তু বানাবেই। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে বিপিএলের যেন এমন ভাবমূর্তি না থাকে। যেভাবে টুর্নামেন্ট চলে, ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হয়— নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সবকিছুই চূড়ান্ত পেশাদারত্বের সঙ্গে সামলাতে হবে।’
এর আগে সোমবার (১৮ আগস্ট) ঢাকায় আসেন অ্যালেক্স মার্শাল। এদিন তিনি বাংলাদেশি ক্রিকেটার, কোচ, টিম ম্যানেজমেন্টের পাশাপাশি আকুর বর্তমান কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় ওয়ার্কশপ করান।
গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিসির এসিইউর জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এই বিদেশি। বিসিবির দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রম তদারকির জন্য এক বছরের জন্য তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে।
গত ১০ আগস্টের শেষ বোর্ড সভায় মার্শালকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে সাংবাদিকদের বিসিবি মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিখার রহমান মিঠু জানান, ‘আমাদের এসিইউ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মার্শালকে নিয়োগ দিয়েছি। আইসিসির ইন্টিগ্রিটি ইউনিট বিপিএলও পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি।’
জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের নাগরিক অ্যালেক্স মার্শাল দেশটির একজন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির অ্যান্টি করাপশনের সাবেক ম্যানেজার তিনি। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ইউনিটে (আকসু) চাকরি করেছেন সাত বছর।
২০১৭ সালে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতির সঙ্গে অ্যান্টি ডোপিং ইউনিটের দায়িত্বেও ছিলেন মার্শাল। পরে সেটি আকসু থেকে আলাদা করা হয়। ‘পরিবারকে সময় দিতে চান’ জানিয়ে গত বছরের নভেম্বরে আইসিসির চাকরি ছেড়ে দেন তিনি।