রোববার (২১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনে প্রক্টর দপ্তরে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে ক্যাম্পাসের সকল খাবারের দাম কমিয়ে নতুনভাবে মূল্য তালিকা নির্ধারণ করেন প্রশাসন। এছাড়াও রিকশা ভাড়াও নতুনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন মূল্য তালিকায় দেখা যায়, ভাত ১৫ টাকা প্লেট থেকে কমিয়ে ১০ টাকা করা হয়েছে, হাফ প্লেট ভাত ৮ টাকা থেকে ৬ টাকা, ব্রয়লার মুরগী ২ পিস ৪০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, কাতল ও রুই মাছ ৫০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, রান্না ডিম ও ভাজা ডিম ২০ টাকা থেকে ১৫ টাকা, যেকোনো ভর্তা ১০ টাকা থেকে ৫ টাকা, সিঙ্গাড়া, চপ, পুড়ি ৮ টাকা থেকে ৬ টাকা, পরোটা ১০ টাকা থেকে ৬ টাকা, সেন্ডইউচ ও বার্গার ৫০ টাকা থেকে ৩০ টাকা, লাল চা ও দুধ চা ৭-১৫ থেকে কমিয়ে ৫-১০ টাকা, কফি ২৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫ টাকা, সবধরনের জুস ১০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাশাপাশি খাবারের মান বাড়াতে দোকানিদের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবং এসব দামে খাবার বিক্রি হচ্ছে কিনা বা খাবারের মান বাড়ানো হয়েছে কিনা এ বিষয়ে তদারকি করার জন্য মনিটরিং সেল থাকবে বলে জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। প্রশাসনের কর্মকর্তারাও মাঝেমাঝে এ খাবার খেয়ে মান যাচাই করবেন বলে উন্মুক্ত আলোচনায় জানানো হয়। এছাড়াও রিকশা ভাড়াও নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ থেকে নির্ধারিত দামে খাবার বিক্রি করতে নির্দেশনা জারি করে রাবি প্রশাসন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. আসাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা প্রায়ই অভিযোগ করে আসছিল। তাই শিক্ষার্থীসহ দোকানিদের নিয়ে আমরা উন্মুক্ত আলোচনায় বসেছিলাম। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে খাবারের দাম কিছুটা কমানো হয়েছে। এবং নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। যারা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি রাখবে, শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে বলে জানান তিনি।