কিউইদের দেওয়া ২৭৫ রানের লক্ষ্যে ভারতের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন এই দুই ওপেনার। আক্রমণের ধারাবাহিকতায় অর্ধশতকের খুব কাছেই ছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। তবে ব্যক্তিগত ৪৬ রানে এসে হতাশা উপহার দেন রোহিত।
লকি ফার্গুসনের ডেলিভারিতে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন তিনি। তার বিদায়ের পর পরই ফেরেন আরেক ওপেনার গিল। এ ব্যাটার করেন ২৬ রান। এরপর চতুর্থ উইকেটে ব্যাট করতে নামা শ্রেয়স আইয়ারকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন বিরাট কোহলি। ৫২ রানের জুটি গড়েন এই দুইজন। তবে দলীয় ১২৮ রানে আইয়ার আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
আইয়ার আউট হলেও দারুণ ফর্মে থাকা কোহলি পঞ্চম উইকেটে রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে দেখা পান আরেকটি হাফ সেঞ্চুরির। তবে রাহুল কোহলির ৫৪ রানের জুটি ভাঙে দলীয় ১৮২ রানে। ষষ্ট উইকেটে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হওয়া সূর্যকুমার যাদব ফেরেন ২ রানে।
তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে শতকের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু ব্যাক্তিগত ৯৫ রানে শচীনকে ছোয়ার আক্ষেপ নিয়ে আউট হন কিং কোহলি। শেষে মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে বাকি পথ হেসেখেলে পাড়ি দেন রবীন্দ্র জাদেজা। এতে ১২ বল হাতে রেখেই চার উইকেটের জয় পায় রোহিত শর্মার দল। আর টানা পাচ জয়ে নিজেদের শীর্ষ স্থান মজবুত করল ভারত।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভন কনওয়ে আজ রানের খাতায় খুলতে পারেনি। ইনিংসের চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের শিকার হয়ে ৯ বলে শূন্য রান করে সাজঘরে ফিরেন কিউই ওপেনার। এরপর তার দেখানো হাঁটেন আরেক ওপেনার উইল ইয়াং। নবম ওভারে দলীয় ১৯ রানে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ইয়াং।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া নিউজিল্যান্ডের হাল ধরেন ড্যারেল মিচেল ও রাচিন রবীন্দ্র। দুই টপ অর্ডার ভারতীয় বোলারদের দারুণ ভাবে সামলান। ব্যক্তিগত ১২ রানে রবীন্দ্রের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দেন ভারতের সেরা ফিল্ডার জাদেজা। এরপর যেন নিজের সরূপে ফিরেন এই কিউই ব্যাটার। মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি।
রবীন্দ্রকে ৩৪তম ওভারে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার মোহাম্মদ শামি। এই বাঁহাতি ব্যাটার ৭৫ রান করে ফিরে গেলেও এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকেন মিচেল। কিউই এই অলরাউন্ডার তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ১০০ বলে তুলে নেন তার বিশ্বকাপের প্রথম শতক।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে মিচেলকে সঙ্গে নিয়ে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যান গ্লেন ফিলিপস। কিন্তু ৪৫তম ওভারে কুলদীপ যাদবের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ফিলিপস। এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা পেসার শামির বোলিং তোপে তেমন কিছু করতে পারেননি। শেষ দিকে মিচেলের শতকে ভর করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৭৩ রানের সংগ্রহ পায় কিউইরা। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১২৭ বলে ১৩০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন মিচেল। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি।