কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতালের প্রথম দিন পুলিশের সাথে হরতালকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ জুন) বেলা পৌনে ১টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন- কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ, কনস্টেবল আনিছুল মোস্তফা, মুরাদ ও অংকন। তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদিকে কাদের মির্জার গ্রেফতার দাবিতে শনিবার দুপুর থেকে কোম্পানীগঞ্জে ৪৮ ঘণ্টা হরতালের ডাক দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু। এরপর থেকে উপজেলার সর্বত্র রাস্তায় ব্যারিকেড ও টায়ারে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের বাদল সমর্থকরা।
কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বসুরহাট-পেশকারহাট সড়কের টেকের বাজারে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে সরাতে যান। আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে পুলিশকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তিনিসহ চার পুলিশ আহত হন। পরে ৩৩ রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এদিকে পুলিশের গুলিতে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫), তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৮), হৃদয় (২২), ফারুকসহ (৩৫) ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩৩ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়েছে।বসুরহাটসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ-র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১২ জুন) সকাল ৯টার দিকে বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে বাদলসহ সাবেক ছাত্রনেতা হাসিব আহসান আলাল আহত হন। তাদের উদ্ধার করে ঢাকা ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।