আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মতো মিডিয়া সেল গঠন করেছে বিএনপি। তবে এতে পেশাদার সাংবাদিকদের জায়গা না হলেও সংকটকালে জনগণ দলের তথ্য পাবে এমন প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
সোমবার (২০ জুন) রাত সাড়ে ১১টায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সই করা এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মিডিয়া সেল গঠনের বিষয়টি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জহির উদ্দিন স্বপনকে আহ্বায়ক ও শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের মিডিয়া সেল গঠন করা হয়েছে।
বাকি সদস্যরা হলেন- মোছা. শাম্মী আক্তার, প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, কাদের গণি চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আলী মাহমুদ (দিনকাল), আতিকুর রহমান রুমন ও শায়রুল কবির খান।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এতদিন বিএনপির দপ্তর এবং দলের চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে গণমাধ্যমের সঙ্গে সমন্বয় করা হতো। এর আগে, গত বছরের ৫ এপ্রিল মারুফ কামাল খান সোহেলকে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিবের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও সোহেল পদে থাকার সময়েও শামসুদ্দিন দিদার ও শায়রুল কবির খান বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং এ সক্রিয় ছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা বলেন, প্রথমবারের মতো দলে মিডিয়া সেল গঠন হওয়ায় হাইকমান্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছি। পাশাপাশি এই মিডিয়া সেলে পেশাদার সাংবাদিকদের নাম থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা করেছিলেন।
তিনি বলেন, সংস্কারপন্থি বরিশাল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহির উদ্দিন স্বপন ২০১৭ দলে ফেরেন, তাকে এই সেলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবার নতুন করে শহীদ উদ্দিন চৌধুরীকে মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব করা হয়েছে। দুজনেরই গণমাধ্যমের সঙ্গে সম্পর্ক আছে।
‘এছাড়া দলের সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি আছেন, তিনি টক শো করেন মিডিয়ার সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো। দলের সহ ও তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরীও আছেন, তিনি সাংবাদিকদের নেতা। কিন্তু শায়রুল কবির খান প্রায় দুই যুগ ধরে মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করার পরও তার নাম শেষে।
অন্যদিকে, দীর্ঘ সময় ধরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কাজ করছেন শামসুদ্দিন দিদার, তার নাম তালিকায় নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, নতুন একটা মিডিয়া সেল হয়েছে এটা ভালো কথা। কিন্তু এখানে পেশাদার সাংবাদিকদের যুক্ত করা যেত। ডক্টর রেদোয়ান সিদ্দিকী, কামাল উদ্দিন সবুজ, ইলিয়াস খানসহ পেশাদার সাংবাদিকদের যুক্ত করলে ভালো হতো। হাতেগোনা কয়েকজন বাদে মিডিয়া সেলের বাকি সদস্যরা একদমই অপরিচিত।
তবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ বা কতটা সুস্থ, তিনি করোনায় আক্রান্ত কি না, বিভিন্ন সময়ে সংবাদকর্মীরা এতদিন সঠিকভাবে তথ্য পেতেন না, এই কমিটির ফলে নিঃসন্দেহে সেই সংকট বিএনপি কাটিয়ে উঠতে পারবে।
এদিকে, নতুন মিডিয়া সেলের সদস্যদের অভিনন্দন জানিয়ে শামসুদ্দিন দিদার জাগো নিউজকে বলেন, দলের লক্ষ্য পূরণের মিডিয়া সেল বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে এটাই প্রত্যাশা করি।
মিডিয়া সেলের বিষয়ে শায়রুল কবির খান বলেন, দলের বৃহত্তর লক্ষ্য নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিডিয়া সেল গঠন করেছেন। এর একজন সদস্য হিসেবে আমি আমার কাজের মাধ্যমে সফল হবো বলে বিশ্বাস করি।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বিএনপিতে প্রথমবারের মতো মিডিয়া সেল গঠন হয়েছে, আমরা সবাই মিলে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো।
সেল সম্পর্কে জানতে চাইলে জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, আমার সামনে এখন অনেক লোক,পরে ঠান্ডা মাথায় কথা বলবো।