বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি সরকার ব্যবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতি এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পৃথিবীর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগুলোতে যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেভাবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশনের অধীনেই হবে নির্বাচন। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিকভাবে সম্পূর্ণ স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। পৃথিবীর কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তত্ত্বাবধায়ক বা অনির্বাচিত ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সরকার ব্যবস্থা নেই।
জনগণের মতামতের ভিত্তিতে রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন হবে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা প্রত্যাশা করি, সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ও সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ নিশ্চিত করা আবশ্যক।
বিএনপির সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অতীতে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো গণহত্যার পথ বেছে নিয়েছিল বিএনপি। বর্তমানেও তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে একইভাবে সন্ত্রাস ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পথ বেছে নিয়েছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদ বাংলাদেশের অস্তিত্বের পরিপন্থী এবং গণতান্ত্রিক চেতনা ও মূল্যবোধের প্রধান শত্রু। বিএনপি সবসময় রাজনীতিতে ও নির্বাচনী মাঠে গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে সাম্প্রদায়িকতার কার্ড খেলে আসছে। বিএনপি-জামায়াত জোটের আমলে তারা বাংলাদেশকে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। আজ রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে উন্মত্ত বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সন্ত্রাসী পন্থায় সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে।
আওয়ামী লীগ জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে এ দেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেই ভোটাধিকার সুরক্ষার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগই সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে।