শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের হয়ে এসে শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করা হয়েছে। এটাকে নস্যাৎ করতে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় দল, কোচিং ব্যবসায়ী, নোট বই ও গাইড বই ব্যবসায়ীরা এটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠে নেমেছেন। এছাড়া কিছু শিক্ষক যারা কোচিং করান তারা নিজেদের স্বার্থহানির আশঙ্কায় এই কারিকুলামের বিরোধিতা করছেন।
সোমবার (২৭ মার্চ) আশুলিয়ার ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে নতুন শিক্ষাক্রমের ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনে লেখকদের নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এই কর্মশালা চলবে আগামী ৩১ তারিখ পর্যন্ত।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা পেছনে ফেরত যাব না, সামনে এগোবো। দুইশ বছর ধরে আমরা প্রশ্ন ও উত্তর প্রদান নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়েছিলাম। যার ফলে মুখস্থ বিদ্যার প্রচলন হয়েছে। মুখস্থ বিদ্যা মনে থাকে না। আমাদের শিক্ষাকে আনন্দময় করা এবং শিক্ষার্থীদের ভাবতে শেখানো, বিশ্লেষণ করতে শেখানো, সবাই মিলে করা এই সমস্ত কিছু নতুন শিক্ষাক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শেখানো হবে। শিক্ষার্থীরা এই ব্যবস্থায় ভীষণ খুশি। শিক্ষকদের একটা বড় অংশ খুশি।
উল্লেখ্য, কর্মশালায় ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বইয়ের পরিমার্জনের কাজ করা হবে।
বৈঠকে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফাহাদুল ইসলাম, ড. জাফর ইকবাল, আবুল মোমেন, ডক্টর স্বরোচিষ সরকার ও ডক্টর নারায়ণ চন্দ্র বিশ্বাসসহ সংশ্লিষ্ট লেখকরা উপস্থিত ছিলেন।