আর কয়েক ঘণ্টা পরই বিশ্বকাপ ফাইনাল। মুখোমুখি ভারত-অষ্ট্রেলিয়া। ক্রিকেটবিশ্বে উত্তেজনা তুঙ্গে। টানা ১০ ম্যাচে জিতে ফাইনালে পা রেখেছে ভারত। অন্যদিকে অষ্ট্রেলিয়াও জিতেছে টানা ৮টি ম্যাচ। ফাইনাল ঘিরে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে সাজ-সাজ রব। কিন্তু শেষ হাসি হাসবে কে? বিশ্বকাপ ট্রফি উঠবে কার হাতে? এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। এর মধ্যেই ফাইনাল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন ভারতের কাশীর এক জ্যোতিষী।
কাশীর জ্যোতিষী সঞ্জয় উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভারত এখনও পর্যন্ত ২ বার বিশ্বকাপ জিতেছে। ১৯৮৩ সালে প্রথমবার যখন কপিল দেবের হাতে ট্রফি ওঠে, তখন বৃহস্পতি ছিলেন বৃশ্চিক রাশিতে। এরপর ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার কাপ জয়ের স্বাদ পায় ভারত। সেই সময় বৃহস্পতি মেষ রাশিতে, রাহু বৃশ্চিক রাশিতে এবং শনি কন্যা রাশিতে অবস্থান করছিলেন।
গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান ২০১১ সালের মতোই
এবারও বৃহস্পতি রয়েছে মেষ রাশিতে এবং রাহু মীন রাশিতে। শনি তার মূল ত্রিভূজ রাশিতে অবস্থান করছে। এছাড়া মঙ্গলও নিজস্ব রাশি অর্থাৎ বৃশ্চিকে রয়েছে, যা ভারতের অবস্থানকে মজবুত করছে। তবে অষ্ট্রেলিয়ার রাশিচক্রও খুব একটা খারাপ নেই। ফলে ফাইনালে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মঙ্গলই অমঙ্গল ডেকে আনবে অষ্ট্রেলিয়ার
আজ দুপুর ২টায় ম্যাচ। আর ঠিক ২টা ১০ মিনিটে মীনের লগ্ন শুরু হবে। সপ্তম ঘরে থাকবেন রাহু। শুক্রের সঙ্গে কেতু থাকবেন কন্যা রাশিতে। এতে ফলের আশা কমে যায়। একই সময়ে, শত্রু ঘরের অধিপতি বুধ তার অষ্টম ঘরে মঙ্গলের রাশিতে আক্রান্ত হবেন। যার কারণে প্রতিপক্ষ দল অস্ট্রেলিয়া একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বড় উইকেট হারাতে পারে। গ্রহের গতিপ্রকৃতি সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে। আর এর ফায়দা তুলবে ভারত। ফলে ২০১১-র বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি ঘটে কাপ উঠতে পারে রোহিতদের হাতে।
১৯৭৫ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপের আসর বসেছিল। কাপ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর ১৯৭৯ সালেও তারাই বিশ্বকাপ নিজেদের দখলে রাখে। ১৯৮৩ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। এরপর ১৯৮৯ সালে অস্ট্রেলিয়া, ১৯৯২ সালে পাকিস্তান, ১৯৯৬ সালে শ্রীলঙ্কা জিতেছে। ১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০০৭-এ টানা তিনবার বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। এরপর ২০১১ সালে দ্বিতীয়বার ট্রফি ওঠে ভারতের হাতে। ২০১৫ সালে ফের অষ্ট্রেলিয়া এবং ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। তবে এ পর্যন্ত ফাইনালে কখনও হারেনি অষ্ট্রেলিয়া। এখন দেখার বিষয় শেষ হাসি কে হাসবে— ভারত নাকি অষ্ট্রেলিয়া!