টিকা না নেওয়া লোকজনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফসি বলেছেন, ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ভুল পথে রয়েছে দেশ।’
রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যান্থনি ফসি বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে টিকা নেওয়া লোকজনের জন্য মাস্ক ব্যবহারের বিধি নতুন করে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া যারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তাদের টিকার দুই ডোজের অতিরিক্ত ‘বুস্টার’ ডোজ দেওয়ার বিষয়টিও পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানান ফসি।
সাক্ষাৎকারে ফসি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ‘টিকা না পাওয়া লোকজনের মধ্যে মহামারি আকার ধারণ করছে।’ যেসব এলাকায় টিকা দেওয়ার হার কম সেসব জায়গায় এই ভাইরাসের ডেল্টা ধরনের কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ কোটি ২৭ লাখ মানুষকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়া হয়েছে, যা মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ।
গত এপ্রিল পর্যন্ত টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বে এগিয়ে থাকা দেশগুলোর তালিকায় ছিল যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর থেকেই সেখানে টিকা দেওয়ার হার কমতে থাকে। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে টিকা দেওয়ার হার বেশ কম। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব রাজ্যের বাসিন্দারা অর্ধেকেরও কম টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে গত মে এবং জুন মাসে দৈনিক শনাক্তের হার কমে এলেও তা আবারও বাড়তে শুরু করে। এরই মধ্যে দেশটিতে মোট শনাক্তের সংখ্যা তিন কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং মৃত্যুর সংখ্যা ছয় লাখ ১০ হাজার ছাড়িয়েছে।
ভারতে শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ‘ডেল্টা ধরনের’ কারণে আক্রান্তের এই ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। ফ্লোরিডা, টেক্সাস এবং মিসৌরির মতো টিকা দেওয়ার হার যে সব রাজ্যে কম, সেখানেই সংক্রমণ বাড়ছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের সার্জন জেনারেল বিবেক মূর্তি জানান, কোভিড আক্রান্ত হয়ে যারা মারা গেছেন, তাদের ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছিলেন টিকার বাইরে।
সাক্ষাৎকারে ফসি বলেছেন, টিকা দেওয়ার হার কম এমন এলাকার স্থানীয় নেতাদের উচিত লোকজনকে টিকা দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করা।