রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী মিতা হককে কেরানীগঞ্জে জানাজা শেষে বাবা-মায়ের কবরের পাশে শায়িত করা হলো। এর আগে বেলা ১১টায় তার মরদেহ ছায়ানট প্রাঙ্গনে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেনে সংস্কৃতি অঙ্গনের অনেকে।
ছায়ানটের সঙ্গে মিতা হকের ছিল আত্মার সম্পর্ক। প্রতিষ্ঠানটির রবীন্দ্রসংগীত বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। এছাড়া দায়িত্বপালন করেছেন রবীন্দ্রসংগীত সম্মেলন পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে। এছাড়া সুরতীর্থ নামে একটি সংগীত প্রশিক্ষণ দল ছিল এই শিল্পীর।
১১ এপ্রিল (রোববার) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান মিতা হক। এর আগে গত ২৫ মার্চ মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে বাসাতে আইসোলেশনে থাকলেও ৩১ মার্চ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মিতা হক গত ৫ বছর ধরে কিডনি রোগেও ভুগছিলেন। নিয়মিত ডায়লাইসিস নিয়ে ভালো ছিলেন। কিন্তু করোনায় আক্রান্ত হয়ে মানসিক এবং শারীরিকভাবে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েন। করোনা থেকে সেরে উঠলেও হার্ট অ্যাটাকের কাছ হার মানতে হয় তাকে।
উল্লেখ্য, মিতা হকের জন্ম ১৯৬২ সালে। তিনি প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার চাচা দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হক। মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী।