বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই দেশে ডলার সংকট তৈরি হয়েছে। সংকট কাটাতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও দিনে দিনে তা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার খোলাবাজারে প্রতি ডলার বিক্রি হয় ১১০ থেকে ১১১ টাকায়। তবে বর্তমানে ব্যাংকগুলোতে ডলার বিক্রি হচ্ছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে।
এদিকে ডলার মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) আন্তঃব্যাংকে (বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে) প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ ব্যাংকগুলোর কাছে মোট ৫০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে। তবে এখনও চড়া দাম রয়েছে খোলাবাজারে। বুধবার ১১০ টাকার মধ্যে ডলার বিক্রি হলেও বৃহস্পতিবার ১০৮ থেকে ১০৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ হিসাবে খোলাবাজারে ডলারের দাম কিছুটা কমেছে।
এদিকে, ডলারের কারসাজি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গোয়েন্দা সংস্থা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বয়ে একাধিক টিম কাজ করছে মাঠে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে ডলারের দামে অস্থিরতা ঠেকাতে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কোনো এক্সচেঞ্জ হাউজ কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়ালে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এছাড়া অনেক এক্সচেঞ্জ হাউজ লাইসেন্স ছাড়াই ডলারের ব্যবসা করছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কারসাজি করে ডলারের দাম বাড়িয়ে যেসব এক্সচেঞ্জ হাউজ ও ব্যাংক মুনাফা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টিম কাজ করছে। কোনো ধরনের অনিয়মের প্রমাণ পেলে লাইসেন্স বাতিলও করা হতে পারে।
এ বিষয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ৯৪ টাকায় ডলার সরবরাহ করবে আর আপনি ১০৫-১১০ টাকায় বিক্রি করবেন- এটাতো হতে পারে না। এখানে শৃঙ্খলা আনা দরকার, শৃঙ্খলার জায়গাটা শক্ত নেই।