বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ দাবি জানিয়েছেন।
ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ‘ইতোমধ্যে কুয়েটে হামলার যে সকল খবর বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উঠে এসেছে তাতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসিসহ অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। যা সমগ্র জাতিকে মর্মাহত করেছে। এই ঘটনাই প্রমাণ করছে সংস্কার ছাড়া যেন তেন কোন নির্বাচনের মাধ্যমে যে কেউ ক্ষমতায় আসলে আবারো জাতি নতুন কোন ফ্যাসিবাদী শক্তির কবলে পড়তে পারে। যার ফলে ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানে যে স্বপ্ন দেখেছিল জাতি তা পূরণ হবার সম্ভাবনা ধ্বংস হয়ে যাবে।’
কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে দাবি করে তারা বলেন, ‘২৪’র গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে যখন সবার লক্ষ্য ঐক্যবদ্ধভাবে বৈষম্যহীন, মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের আন্দোলনের চেতনায় সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ইনসাফ ভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ করা, যখন সারা দেশে সংস্কার ও নতুনভাবে দেশ গঠনের কাজ চলছে, তখন কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে, যা জাতিকে অনিবার্য সংঘাতের দিকে টেলে দিতে পারে।’
বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘জাতি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যে বিজয় অর্জন করেছিল, সেই চেতনার ভিত্তিতে যদি নতুন বাংলাদেশ গড়তে না পারি, শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে না পারি, শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারি তাহলে জাতি হিসাবে আমাদের কঠিন মাসুল দিতে হবে। কাউকে কোনো ট্যাগ দিয়ে হামলা করার অধিকার বা আইন পৃথিবীর কোথাও নেই। নিরাপদ ও লেজুড়বৃত্তি-ছাত্ররাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের অধিকার। এই অধিকার নিয়ে কথা বলায় তাদের রক্তাক্ত করা হয়েছে তা চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন।’