দেশের সীমান্তবর্তী উত্তরাঞ্চলে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছেই। গত ২৪ ঘন্টায় কুষ্টিয়ায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এখন পর্যন্ত হাসপাতালটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মৃত্য ২২ জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১২ জন এবং করোনার লক্ষণ নিয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে জেলায় নতুনে করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২২০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় করোনা শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। নতুন করে শনাক্ত হওয়া ২২০ জনের মধ্যে কুষ্টিয়া সদরের ৮৩ জন, দৌলতপুরের ৫৯ জন, কুমারখালীর ২৬ জন, ভেড়ামারার ৩৪ জন, মিরপুরের ১১ জন ও খোকসার সাতজন রয়েছেন।
২৫০ বেডের করোনা ডেডিকেটেড এই হাসপাতালটিতে এখন শয্যার চেয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেশি। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ২৮০ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৮৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৯৩ জন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে শয্যা না থাকায় এখন রোগীদের মেঝেতে ও করিডোরে রাখতে হচ্ছে। হাসপাতালে এখন করোনা রোগীদের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই। প্রতিদিনই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগীর চাপ যেভাবে বাড়ছে তাতে সেবা প্রদান করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।