আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই মেলাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই পরীক্ষা কেন্দ্রের মাঠে ও আশেপাশে এলাকায় মেলার ভারী মালামাল এনে স্তূপ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) থেকে ওই কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রটিতে উপজেলার পাঁচটি বিদ্যালয় থেকে অন্তত ৬০০ জন পরীক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা। তাতে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, প্রভাবশালী একটি চক্র রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই মেলাটির আয়োজন করেছে। তবে ভয়ে তারা আয়োজকের নাম বলতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
নাম না প্রকাশের শর্তে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক বলেন, একটি বোর্ড পরীক্ষার কেন্দ্রে মেলার আয়োজন করতে কখনোই দেখিনি। তাও আবার পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে। মেলাটি পরীক্ষার পর দিলে কী হতো বুঝে আসে না। এখানে দূর দূরান্তের পরীক্ষার্থীরা আসবে। অনেক মেয়ে পরীক্ষার্থীও আসবে। সেখানে যদি মেলা হয় তাহলে বহিরাগত লোকজন ভিড় করবে এটাই স্বাভাবিক। শত শত লোক যদি বিদ্যালয়ের মাঠে ভিড় করে তবে পরীক্ষার পরিবেশ থাকল কই? প্রশাসনের উচিত বিষয়টা শক্তভাবে দেখা।
কোনো অনুমতি ছাড়াই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে দাবি করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
তিতাস উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হাসান বলেন, একই সঙ্গে কলেজ হওয়ায় বিদ্যালয়টির গভর্নিং বডির সভাপতি আমি। আমার কাছে কেউ কোনো অনুমতির জন্য আসেনি। বিদ্যালয়ের ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে পরীক্ষার সময়। যদি এমন আয়োজন করা হয় তবে আয়োজকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, বিষয়টি এখনই আপনার মাধ্যমে জানলাম। পরীক্ষার কেন্দ্রের মাঠে এমন মেলা করার সুযোগ নেই পরীক্ষার সময়। আমি ইউএনওকে বলে দিচ্ছি ব্যবস্থা নিতে।