রোববার (২৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এছাড়া মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান (ভিপি মিজান), জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোহিতুর রহমান হেলাল, সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক স্বাগত কিশোর দাস চৌধুরীসহ ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এসব নেতার জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘৭ জানুয়ারির ডামি ও একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতার দাপট এবং ক্ষমতালোভ আওয়ামী সরকারকে আরও বেশি মাত্রায় হিংস্র করে তুলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় মিথ্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির ছয়জন নেতৃবৃন্দের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি উল্লিখিত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিরোধী দলীয় কোনো নেতাকর্মীকে আটকের পর অস্বীকার করা ভয়ংকর অমানবিক কাজ। আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতায় থেকে এ ধরনের মনুষ্যত্বহীন কাজ ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রের মদদে এখনো বিরোধী দল নিধনে বেপরোয়া কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে ভয় পাচ্ছে। তাই অজানা আতঙ্কে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকছে। এর ফলে গুম, গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও বিচার বহির্ভূত হত্যার মতো নিষ্ঠুর কাজ অব্যাহত রেখেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘বিরোধী দলশূন্য না করলে দেশে নব্য বাকশালী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব নয় বলেই বিরোধী দল ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্পূর্ণভাবে হরণ করতেই ধারাবাহিকভাবে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের অদৃশ্য করা হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই আওয়ামী গণবিচ্ছিন্ন সরকার বিরোধী দল ও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। আওয়ামী ভয়াবহ দুঃশাসনে সমগ্র দেশটাই এখন জুলুমের নগরীতে পরিণত হয়েছে। তবে দখলদার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে ক্রোধান্বিত হয়ে উঠেছে জনগণ, আওয়ামী অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর পতন না হওয়া পর্যন্ত জনগণের আন্দোলন থামবে না।’