ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৬১টি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজের অধ্যক্ষকে এমপিওভুক্ত করার অভিযোগে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) নিতাই চন্দ্র সূত্রধর ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক শিহাব সালাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন ৬১টি ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা কলেজের ৬১ জন অধ্যক্ষকে অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের এমপিও ডাটাবেজের মাধ্যমে এমপিও তালিকাভুক্ত করেন সাবেক মহাপরিচালক নিতাই চন্দ্র সূত্রধর ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই করা হয়নি, ছিল না কোনো প্রশাসনিক অনুমোদন। এ কারণে প্রায় সরকারি ১৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অপরকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে সরকারি অর্থের ক্ষতিসাধন করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এর ৫(২) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
ঘটনার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১০ সালের ২১ আগস্ট বিকেল ৩টা ২৩ মিনিট থেকে ৪টা ৫ মিনিটের মধ্যে ৬১টি টেকনিক্যাল ও বিএম (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট) কলেজের অধ্যক্ষকে এমপিও তালিকাভুক্ত করা হয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলে অবস্থিত এমপিও ডাটাবেজে অধিদপ্তরের আইসিটি শাখার ‘Mostafiz’ নামে ইউজার আইডি ও সংশ্লিষ্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ৬১ অধ্যক্ষকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অনুমোদন ছাড়াই এমপিও প্রদান করেন।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, মহাপরিচালক হিসেবে অবগত থাকা সত্ত্বেও নিতাই চন্দ্র সূত্রধর কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি বরং এতে মৌন সম্মতি প্রদান করেন। এই এমপিওভুক্তির ফলে অধ্যক্ষরা ২০১০ সাল থেকে থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন-ভাতার সরকারি অংশের প্রায় ১৮ কোটি ৮৬ লাখ উত্তোলন করেন।